বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বিধানসভার উপনির্বাচনকে সামনে রেখে এদিন ফালাকাটায় বিজেপি অভিনন্দন যাত্রা করে। এই কর্মসূচি এদিন জনজোয়ারের রূপ নেয়। অভিনন্দন যাত্রা শেষে ফালাকাটা চৌপথিতে সভা করেন দিলীপবাবু। সেখানে দিলীপবাবু বলেন, যখন শরণার্থীরা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসেছিলেন তখন এই তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসের শয়তানরা কোথায় ছিল? মুখ্যমন্ত্রী সিএএ আটকানোর জন্য দিনরাত রাস্তায় দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। দিদিমণি সিএএ আটকাতে চাইছেন। আর ওনার পুলিস বিজেপি ও বিজেপি’র কর্মীদের আটকাতে চাইছে। লুঙ্গি বাহিনী ওপার বাংলায় আমাদের উপর অত্যাচার করেছিল। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সম্পত্তি লুট করেছিল। এরা আবার এসেছে। এদের জন্য তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস মায়াকান্না করছে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে আমাদের ৯২ জন কর্মী খুন হয়েছেন। এই বলিদান ব্যর্থ হবে না। ২৯ হাজার বিজেপি কর্মীর নামে মিথ্যা কেস দিয়েছে। আমাদের তিনহাজার কর্মী বাড়িছাড়া। দু’হাজার কর্মী জেলে। দিদিমণি আপনি কিছুই দিতে পারবেন না। শুধু কেস দিতে পারবেন। জেলায় জেলায় আমার নামে কেস দিচ্ছেন। আপনাকে কালীঘাটে পাঠিয়ে দেব। ২০২১ সালে রাজ্যে সরকার গঠন করব আমরা।
লোকসভা ভোটে এগিয়ে থেকেও কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর ও করিমপুর উপনির্বাচনে হার হয়েছে বিজেপি’র। তিনটি উপ নির্বাচনে জিতেই তৃণমূল হ্যাট্রিক করেছে। ফালাকাটাতেও বিজেপি লোকসভা ভোটে ২৭ হাজার ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে আছে। তাহলে এবার কি ফালাকাটা উপনির্বাচনেও বিজেপি’র ভরাডুবির পুনরাবৃত্তি হবে? এই প্রশ্নে দৃশ্যতই বিব্রত দিলীপবাবু বলেন, উপনির্বাচনের ফল তো সব সময় একরকম হয় না। দেখা যাক কী হয়! তবে বুধবার ফালাকাটায় দলের অভিনন্দন যাত্রা দেখে বুঝতেই পারছেন এখানে আমরাই জিতছি।
এদিন দুপুর দেড়টায় ফালাকাটা স্টেশন ময়দান থেকে বিজেপি’র অভিনন্দন যাত্রা শুরু হয়। বীরপাড়া সড়ক, ধূপগুড়ি মোড়, চৌপথি, মিল রোড, থানা রোড ও নেতাজি রোড হয়ে তা চৌপথিতে শেষ হয়। হুডখোলা জিপে দিলীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন দলের দুই সংসদ সদস্য নিশীথ প্রামাণিক, জন বারলা ও দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। এদিন বিজেপি’র অভিনন্দন যাত্রার জেরে গোটা শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যদিও এদিন চৌপথিতে বিজেপি’র এই পথসভার অনুমতি ছিল না। পুলিস সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি অবশ্য বলেন, বিনা অনুমতিতে সভা করার জন্য কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে,এদিন ফালাকাটায় আসার আগে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো দিকে কর্মচারী যৌথ মঞ্চের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দিলীপবাবু। যদিও অনুষ্ঠানটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে করার কথা ছিল। অভিযোগ, তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এদিন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপির সভাপতির বক্তব্য রাখার সময় মাইকও বন্ধ হয়ে যায়। দিলীপবাবু বলেন, আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। সংবর্ধনার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এখন ১৪৪ ধারা জারি করা হল। বিজেপি’কে আটকাতে আর কী কী করবেন? ১৪৪ কেন ২৮৮ ধারা জারি করলেও বিজেপি’কে আটকানো যাবে না। কর্মচারী যৌথ মঞ্চের রাজ্য সহ সভাপতি দেবাশিস দাস বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুমতি চেয়ে পাওয়া যায়নি।