বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই ফুল চাষ করে বর্তমানে ভালোই মুনাফা অর্জন করছেন চাষিরা। উৎপাদিত ফুল রায়গঞ্জ তো বটেই, সেইসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর ছাড়িয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে রপ্তানি করা হচ্ছে। যার ফলে আয়ের পরিমাণ বাড়ছে যথেষ্ট। সেই কারণেই এখন গাঁদা নিয়ে ফুল চাষিদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা এই চাষিরা পেয়ে থাকেন। তাই চাষের প্রতি যথেষ্ট উৎসাহও লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফুল চাষিদের মধ্যে।
এক ফুল চাষি পরিমল বর্মন বলেন, এবছর খুব ভালো গাঁদা ফুল চাষ হয়েছে। আমরা সারা বছর ফুল চাষ করে থাকি। ফসল চাষের চেয়েও গাঁদা ফুলের চাষে বর্তমানে অনেক বেশি লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি। ফুল চাষ করে আয় বেড়েছে আমাদের।
অন্য এক চাষি পরিমল সরকার বলেন, আমরা এই চাষের জন্য বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। ফুল চাষ করে আমরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি। গাঁদা ফুলের চাহিদাও আছে প্রচুর।
বর্তমানে সারা বছর ধরেই গাঁদা ফুলের চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে, বিয়েবাড়ি বা শ্রাদ্ধবাড়িতে, পুজো পার্বণে এবং গৃহসজ্জার কাজেও গাঁদা ফুল সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শীতকালীন ফুল হলেও এখন গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎকালেও চাষীরা এই ফুল চাষ করছেন। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন এলাকাতেই এই ফুলের চাষ করা হচ্ছে। পারধা, বাজিতপুর সাহেবঘাটা, দেহখণ্ড, পতিরাজপুর সহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে খাদ্যশস্য পাশাপাশি এই ফুলের চাষ করে মুনাফা অর্জন করছেন চাষিরা। অনেকে অন্যের জমি লিজে নিয়েও গাঁদা ফুল চাষ করছেন। আবার কেউ কেউ নিজেদের জমিতেই খাদ্য শস্য চাষের পাশাপাশি গাঁদা ফুলের চাষও করছেন। চাষিদের দাবি, চার বিঘা জমিতে ফুল চাষ করলে বছরে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। এদিকে ওই পরিমাণ ফুল উৎপাদনের জন্য তাঁদের খরচ হয় মাত্র দেড় থেকে পৌনে দুই লক্ষ টাকা। দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা এমনিতেই লাভের মার্জিন থাকে। এছাড়াও গাঁদা ফুলের মালা গেঁথেও অনেক মহিলা নিজ নিজ সংসারের হাল টানছেন। খুচরা ও পাইকারী হারে অনেকেই সেই মালা বা ফুল বিক্রি করেন। সাইকেলে চড়ে, পায়ে হেঁটে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুলের মালা বিক্রি বিক্রি করতে দেখা যায় মানুষদের। দাম কম হলেও মানুষের কাছে এই ফুলের চাহিদা থাকায় গাঁদা ফুল চাষ করেই লাভের মুখ দেখতে পারছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ চাষিরা।