উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
উত্তরবঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পুরসভাগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি একটি। আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা অনুসারে এখানে পূর্ত বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য মুন্সি নুরুল ইসলাম নিজের দখলে থাকা ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। এবার সেই ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। একইভাবে ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য কমল আগরওয়াল (১০ নম্বর ওয়ার্ড) এবং শিক্ষা বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য শঙ্কর ঘোষ (২৪ নম্বর ওয়ার্ড) নিজেদের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। ওয়ার্ডগুলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের দিলীপ সিংহের দখলে থাকা ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এবার তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত এবং বরো চেয়ারম্যান সিপিএমের অসীম সাহার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এঁদের অধিকাংশই দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার।
শিলিগুড়িতে শুধু সিপিএম নয়, আসন সংরক্ষণের বেড়াজালের আটকে পড়েছেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের কয়েকজন হেভিওয়েট কাউন্সিলারও। ওই কাউন্সিলারদের মধ্যে কংগ্রেসের সুজায় ঘটক ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আর লড়াই করতে পারবেন না। সেটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এরবাইরে নিজের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না ৫নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান দাপুটে তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীলশর্মাও। ওই ওয়ার্ড এসসিদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল দত্তের দখলে থাকা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় তিনিও সেই আসনে এবার দাঁডাতে পারবেন না।
আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা অনুযায়ী, কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দা সাহার জেতা ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং দীর্ঘদিনের সিপিএমের কাউন্সিলার পার্থপ্রতিম সেনগুপ্তের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। দু’জনেই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে এবার দাঁড়াতে পারবেন না। তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তকুমার বর্মার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবারে তফসিলি মহিলাদের, মাথাভাঙা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান চন্দন দাসের ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি মহিলা এবং দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শুভময় চক্রবর্তীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
তৃণমূল শাসিত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পালও নিজের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। সেটি এসসিদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সির তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈকত চট্যোপাধ্যায়ও সংরক্ষণের গেরোয় ফেঁসেছেন। তাঁর দখলে থাকা ১১ নম্বর ওয়ার্ড এসসি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহাও নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না।
তৃণমূল পরিচালিত ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ সহ সিংহভাগ বিরোধী কাউন্সিলার আসন্ন পুরভোটে পুরানো ওয়ার্ড থেকে প্রতিদন্দ্বিতা করতে পারবেন না। একই পরিস্থিতি প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিরও। ওই তালিকায় তৃণমূলের আরও কয়েকজন কাউন্সিলার রয়েছেন। নীহারবাবুর বর্তমান ওয়ার্ড ১৫ নম্বর মহিলাদের এবং নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির ২২ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তবে পুরাতন মালদহ পুরসভার ক্ষেত্রে হেভিওয়েট কোনও নেতার নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে অসুবিধা হবে না।
সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে নিজের জেতা ওয়ার্ড থেকেই এবার ভোটে আর দাঁড়াতে পারবেন না খোদ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারও। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পুরসভাতেও একাধিক কাউন্সিলার সংরক্ষণের কোপে নিজ নিজ ওয়ার্ডে এবার আর প্রার্থী হতে পারবেন না।