উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা অনুযায়ী, রামপুরহাটে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ ও ৯ নম্বর তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ৫, ৭, ১০ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি আসনগুলি অসংরক্ষিত রয়েছে।
৭নম্বর ওয়ার্ড থেকে টানা চারবার জয়ী হয়ে এসেছেন চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি। পর পর দু’বার তিনিই পুরসভার চেয়ারম্যান। সংরক্ষণের কোপে এবার নিজের জেতা আসনেই দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। এদিন সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি নিয়ে দল ভাববে। আমাকে যদি অন্য ওয়ার্ডে টিকিটও না দেয় তাহলেও দল যাঁকে প্রার্থী করবে তাঁর হয়ে প্রচারে নামব। অন্যদিকে, সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকারও। এবার তাঁর জেতা ওয়ার্ডটিও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তিনি বলেন, গতবার দলই আমাকে টিকিট দিয়েছিল। ফলে, ওয়ার্ড সংরক্ষণের বিষয়টিও দলের ভাবনা।
অপরদিকে, এবার ৪নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি উপজাতি মহিলা ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে, পরপর টানা তিনবার নিজের জেতা ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না আব্বাস হোসেন। একইভাবে বিপাকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমল শেখ। যদিও দু’জনেই বিষয়টি দলের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন।
এদিকে খসড়া তালিকা নিয়ে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার শুভাশিস চৌধুরী বলেন, তালিকা নিয়ে দলে আলোচনা হবে। অভিযোগ জানানোর অনেক সময় রয়েছে। অন্যদিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, সংরক্ষণের তালিকা থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করা। প্রশাসন সেটাই করে দেখাক।
অন্যদিকে, সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দু’বার জয়ী হয়েছেন। গত ২০০৯ সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন। যদিও তাঁর বাড়ি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনের আগে সাঁইথিয়ার পরিচালন বোর্ড কংগ্রেস থেকে বদলে তৃণমূল হয়ে যায়। সেসময় বিপ্লববাবু ফের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই প্রার্থী হয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান মনোনীত হন। কিন্তু, এবার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে, বিপ্লববাবু ওই ওয়ার্ড থেকে আর প্রার্থী হতে পারছেন না। যদিও তাঁর দাবি, আসন সংরক্ষণের পর টিকিট পাওয়ার বিষয়টি দলই বিবেচনা করবে।
অন্যদিকে, সাঁইথিয়ায় ৫, ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডগুলি তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তার মধ্যে আবার ৫ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি তফসিলি মহিলাদের জন্য। এছাড়া ২, ৭, ১১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডগুলি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা এদিন প্রকাশিত হয়েছে। সেব্যাপারে আমরা দলীয়ভাবে আলোচনা করব।
বীরভূমের ওসি ইলেকশন বুদ্ধদেব পান বলেন, এদিন খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ, আপত্তি থাকলে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে পারেন। পরে একটি সর্বদলীয় বৈঠকও করা হবে। তারপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে।