উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সেরিকালচার অফিস অবস্থিত। এই অফিসে কয়েকমাস আগে রেশমগুঁটি তৈরি হতো। তবে বর্তমানে নানা কারণে সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখানে সাতটি কোয়ার্টার থাকলেও সেগুলি পরিত্যক্ত ও ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। এক সময় এই অফিসে নৈশপ্রহরী থাকলেও এখন তাঁরা নেই। মাত্র পাঁচ জন কর্মী রয়েছেন তাঁরা ময়নাগুড়ি থেকে মাঝেমধ্যে আসেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন রেশম কর্মী এবং দু’জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী। এই অফিস চত্বরে ৬৬ বিঘা জমি রয়েছে। এই জমিতে নানা ধরনের মূল্যবান গাছ রয়েছে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে এখান থেকে দুষ্কৃতীরা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে রেশন উৎপাদনের জন্য ১৯৭৯ সালে এই সেরিকালচার অফিস চালু হয়েছিল।
এখানকার কর্মী বাবুলাল রায় বলেন, কর্মীর অভাবে এই অফিসে বর্তমানে কোনও কাজ হয় না। রাতে নৈশপ্রহরী না থাকায় কে বা কারা দেদার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই অফিস চত্বরে মদের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়। আমাদের মতে সরকারি এই গাছগুলি যে করেই হোক রক্ষা করা উচিত। প্রচুর গামারি ও শিশু গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। গাছ চুরি হতে হতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দপ্তরের ইনচার্জ ভবেশ বর্মা বলেন, বর্তমানে আমাদের অফিস কর্মী নেই বললেই চলে। আর এই সুযোগে চুরি হয়ে যাচ্ছে এই গাছ। আমি থানায় এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন তো আমাদের বাগান পরিচর্যা ছাড়া কার্যত কোনও কাজ নেই। কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে হেড অফিসে অনেক বার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কর্মীর অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। সরকারি সম্পত্তি রক্ষার ব্যাপারে আমি নিজে স্থানীয় প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। এলাকার লোকজন যত্রতত্র গোরু, ছাগল নিয়ে আমাদের মাঠে প্রবেশ করছে। গাছের পাতা খাওয়াচ্ছে কিছু বললেই তারা ঝামেলা করছে। আমি নিজে প্রধানকে অনেক বার বলেছি। আমরা দ্রুত এনিয়ে বিডিও ও জেলাশাসকের দ্বারস্থ হব। প্রশাসন পদক্ষেপ না করলে এই কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা যাবে না।
জলপাইগুড়ি জেলা সেরিকালচার দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সত্যব্রত পাল বলেন, এই গাছ চুরির ব্যাপারে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। আমাদের ওখানে রাতে পাহারা দেওয়ার মতো কোনও কর্মী নেই। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেও তো এব্যাপারে পদক্ষেপ করা উচিত। ওখানে যে গাছগুলি চুরি হচ্ছে তাতে স্থানীয় লোকজন জড়িত আছে বলেই মনে হচ্ছে।
খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের বাবলু রায় বলেন, একসময় এই গাছগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে লাগানো হলেও এগুলি রেশম দপ্তরের সম্পত্তি। ওখানে এখন লুটতরাজ চলছে। বহু মূল্যবান গাছ কে বা কারা রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি যে করেই হোক আমাদের রক্ষা করতে হবে। যদি গ্রাম পঞ্চায়েতকে দপ্তর থেকে বাগানটি দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরা প্রজেক্ট করতে পারব। এতে গাছগুলিও রক্ষা হবে।