উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
গত ৩ জানুয়ারি নৈহাটির দেবক গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় পাঁচ শ্রমিকের। বেআইনি বাজি কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত বাজি, বিস্ফোরক দ্রব্য নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ৯ জানুয়ারি নৈহাটির ছাইঘাটে পরমাণু বোমার ন্যায় বিস্ফোরণ হয়। কেঁপে ওঠে নৈহাটি, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। তীব্র কম্পনে গঙ্গার দুই পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রচুর ঘরবাড়ি। সরকারি হিসেব অনুসারে নৈহাটি শহরের ১৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। এদিন ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা হল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সর্বনিম্ন ৬ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এদিন আর্থিক সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী, বারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেসব পরিবারের বাড়ির ছাউনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের সকলের প্রতিদিন খাবার দেওয়া হচ্ছে। জখমদের চিকিৎসা খরচও দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত পাঁচ শ্রমিকের পরিবার এখনও পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য বা আশ্বাস পায়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিসের গাফিলতিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেল। অথচ বিস্ফোরণে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য কোনও আর্থিক সহায়তা নেই। বেআইনি বাজি কারখানাগুলি চলার ক্ষেত্রে কি পুলিস প্রশাসনের কোনও গাফিলাতি ছিল না? বিষমদ খেয়ে মৃত পরিবার এর আগে দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। অভাবের তাড়নায় তো শ্রমিকরা বাজি কারখানায় কাজে গিয়েছিল। আমাদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ নয় কেন?
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন বৃন্দা সাঁপুই, কল্পনা হালদার, রাম বেসরা, মনসুন পেয়াদা ও অভয় মাণ্ডি। বৃন্দাদেবীর ছেলে বাবলু সাঁপুই বলেন, নৈহাটিতে যাঁদের বাড়ির জানলার কাচ ভাঙল, সরকার তাঁদের আর্থিক সাহায্য দিল। অথচ আমার মা মারা গিয়েছে। আমার মা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল। আমার বাবা, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় কোনও কাজ করতে পারি না। আমাদের দিকে নজর নেই প্রশাসনের। এ বিষয়ে ফোন করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীকে। তিনি প্রশ্ন শুনেই ফোন কেটে দেন। পরে আর তিনি ফোন তোলেননি।