Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। তেমনি বাংলাদেশের মানুষজনও কলকাতায় আসাটাকে বিদেশে আসা বলে ভাবেন না। ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের সময় কলকাতার অনেক ক্রিকেট-প্রেমী বাঙালিকে দেখেছি বাংলাদেশ টিমের সমর্থক! অবাক হলেও সত্যি। তাঁদের যুক্তি, বাংলাদেশ টিম মানে এগারোজন বাঙালির দল। ভাবা যায়! আমি আগে বাঙালি, পরে ভারতীয়। বাঙালির আবেগ এখনও এতটাই উচ্চগ্রামের। সেখানে বর্ডার, কাঁটাতার অবচেতনে নস্যাৎ হয়ে যায়। অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বহু মানুষের কাছে তাঁদের রাজধানী শহর ঢাকার চেয়ে কলকাতা অনেক আপন। এই যে নৈকট্য তার বড় কারণ দূরত্ব। যেখানে মাত্র ৬০-৭০ কিমি এগোলেই কলকাতায় পৌঁছনো সম্ভব, সেখানে ঢাকায় যেতে পাড়ি দিতে হয় তিনশো কিমির বেশি পথ।
ওপার বাংলার বেশিরভাগ মানুষের বিশ্বাস, কলকাতার চিকিৎসা-পরিষেবা ঢাকার চেয়ে ভালো, আর সেটা ঐতিহাসিক কারণে। কলকাতার এই পরিষেবার উপর তাঁদেরও হক রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। ইএম বাইপাস লাগোয়া কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে সারা বছরই রোগীর ভিড় থাকে। এই রোগীদের একটি বড় অংশই বাংলাদেশি। এখানকার পরিষেবায় তাঁরা এতটাই সন্তুষ্ট যে অনেকে প্রায়ই চিকিৎসা করাতে আসেন। সিএএ-এনআরসি নিয়ে কিছুদিন যাবৎ কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ এবং আরও একাধিক অঞ্চল উত্তাল। তারই মধ্যে একদিন আলাপ হয় মাঝবয়সি এক আইনজীবীর সঙ্গে। আব্দুল জলিল। বাংলাদেশের একটি জেলা কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, এই ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া কী? তিনি হেসে জবাব দিলেন, বাংলাদেশে মৌলবাদের বাড়াবাড়ি নিয়ে এতদিন আপনারা (ভারতীয়রা) হেসেছেন, আর এখন আমরা হাসছি আপনাদের (ভারতীয়দের) দেখে!
জলিল সাহেব বলেন, আপনাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হলেও নিখাদ সত্যিটা এই—বাংলাদেশের আজকের যুবসমাজ মনে-প্রাণে অনেক আধুনিক। তাদের বেশিরভাগের কাছে মৌলবাদের কোনও স্থান নেই। বয়স্কদেরও চোখ খুলে দিচ্ছেন বয়োকনিষ্ঠরা। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থেকে ক্রমে দূরে সরে আসার প্রবণতাটি আজকের বাংলাদেশের বিরাট প্রাপ্তি। ধর্মের নামে জাতের নামে বজ্জাতি বেশি বেশি মানুষ মন থেকে পরিত্যাগ করছেন বলেই জামাত এবং বিএনপি শিবিরে ত্রাহি রব উঠেছে।
জলিল সাহেবের আন্তরিক আমন্ত্রণ, শুধু মুখের কথা নয়, আসুন—সামনে তো একুশের বইমেলা, তারপর বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। দেখে যান কেমন অসাম্প্রদায়িক আনন্দের পরিবেশ আমরা গড়ে তুলতে পেরেছি। এমনকী, দুর্গাপুজোতেও কী আনন্দ হয় নতুন এই বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র, আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। দুর্গাপুজোর উৎসব যাতে পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে পারে তার অভূতপূর্ব বন্দোবস্ত আমাদের সরকার করে থাকে। শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রেও হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘু শ্রেণী আগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। বেশিরভাগ সরকারি উচ্চপদেও হিন্দুরা আর ব্র্যাত্য নয়।
জলিল সাহেবের সঙ্গে এই কথার মধ্যে যোগ দিলেন পাশে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশি যুবক। অনির্বাণ ইসলাম। ঢাকায় সরকারি চাকুরে। অনির্বাণ বলেন, আজকের বাংলাদেশের স্বপ্ন—অচিরেই যথার্থ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বিকশিত হওয়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সাকার করে তোলাই আমাদের স্বপ্ন। তাঁকে হত্যার পরই ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফের বঙ্গবন্ধুর সংবিধান ফিরিয়ে আনাই মুক্তমনা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য।
জলিল সাহেব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সত্যিকার ধর্মনিরপেক্ষ নেতা। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি। কিন্তু এমন উন্নত চেতনার যুবসমাজকে পাশে না-পেলে তিনি এই অসাধ্যসাধন করতে পারতেন না। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন যে পিছিয়ে ছিল তার মূল কারণ জনসংখ্যার অর্ধেককে অকেজো করে রাখা হয়েছিল। আজ মেয়েরাও সামনের সারিতে উঠে আসছেন। বাংলাদেশে সফল হয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। শিক্ষার হার দ্রুত বাড়ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল খুব দুর্বল, আর ছিল তীব্র বিদ্যুৎসমস্যা। পূর্ববঙ্গ ব্রিটিশ ভারতে দুয়োরানির সন্তানের মতোই ব্যবহার পেয়েছে, শোষণ পাকিস্তান জমানায় আরও তীব্র হয়েছে। হাসিনার সরকার সেই অতল থেকে টেনে তুলেছে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাকে। আজকের বাংলাদেশ সামনে এগোনো ছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবছে না। প্রত্যেকে নিজ নিজ সৎ জীবিকাকেই পাখির চোখ করেছে। তাই ভারতে কী হচ্ছে, তা নিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমাদের নেই।
জলিল সাহেব যে-আক্ষেপসহ উপসংহার টানলেন তার ভিতরে একটি চেতাবনি লক্ষ করলাম—আমরা (বাংলাদেশিরা) একটা ‘আনসেটেলড’ (অমীমাংসিত) ইস্যুকে ‘সেটেলড’ (মীমাংসিত) করার জন্য আপ্রাণ লড়াই করছি আর ভারত সেই ‘সেটেলড’ ইস্যুটাকেই ‘আনসেটেলড’ করতে প্রয়াসী হয়েছে! তিনি অবশ্য এটাও মানলেন যে ভারতের গণতান্ত্রিক ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত। বললেন, তাই আমরা ধরেই নিচ্ছি, এই সমস্যা ভারতের মানুষ দ্রুত সামলে নেবে। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো অক্ষুণ্ণই থাকবে। এই দুই মুক্তমনা বাংলাদেশি নাগরিকের কথার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে দেখছি—বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ভিতরে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। সিডনির বিখ্যাত গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিস-এর ২০১৯-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮-র তুলনায় বাংলাদেশ ওই বছর ৬ ধাপ এগিয়েছে। ২০১৭-র তুলনায় ২০১৮-তে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণহানি কমেছে ৭০ শতাংশ। গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স অনুসারে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব এখন মাঝারি মাত্রার।
পরিস্থিতি আগে অনেক খারাপ ছিল। এই সাফল্য অবশ্য হাওয়ায় আসেনি। ২০১৩-১৫ সালের ভিতর মুক্তমনা নাগরিকদের উপর একের পর এক মৌলবাদী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনের প্রাণও গিয়েছে তাতে। ২০১৩-তে উগ্র মৌলবাদীরা ধর্মনিরপেক্ষ মুক্তমনা নামী ব্যক্তিদের খতম করার হুমকিসহ একটি হিট লিস্ট প্রকাশ করে। তারপর একের পর এক ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, সাংবাদিক আরিফ মহিউদ্দিন, শাহবাগ আন্দোলনের শরিক সানিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সফিউল ইসলাম, ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস, ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায় ওরফে নিলয় নীল, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার ও প্রতিভাবান ব্লগার অভিজিৎ রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ, নামী প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ও আহমেদুর রশিদ চৌধুরী, লেখক রণদীপ বসু ও তারেক রহমান প্রমুখ। তার আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রক্তাক্ত হন প্রখ্যাত যুক্তিবাদী অধ্যাপক লেখক হুমায়ুন আজাদ। ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’, ‘নারী’ এবং ‘আমার অবিশ্বাস’ শিরোনামের বিতর্কিত ও সাড়া জাগানো বইগুলি তাঁরই কলম থেকে বেরিয়েছিল।
২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান এলাকায় হোলি আর্টিজান বেকারিতে (জনপ্রিয় রেস্তরাঁ) ঘটে যায় এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা। এরপরই হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগোয়। তাতে শুধু আইনশৃঙ্খলারই উন্নতি হয়নি, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সে-দেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের এই সাফল্য ধরা পড়েছে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকেও। ২০১৯-এর অক্টোবরের মাঝামাঝি প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স। তাতে দেখা যাচ্ছে ভারতের পজিশন সাত ধাপ নেমে গিয়েছে: ৯৫ থেকে ১০২ নম্বরে। অন্যদিকে, এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ (৮৮)। ছোট এই পড়শি দেশটি ২০১৮-তেও ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল, যে-দেশ একসময় ভারতের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল ছিল খাদ্যসহ নানা প্রয়োজনে।
তবে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়ে গিয়েছে, এমন দাবি কেউ করেননি। রক্তবীজের ঝাড় যে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ২০১৮-র ৩ মার্চ। ওইদিন সিলেটে আততায়ীর হাতে আক্রান্ত হন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক, কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের নামী লেখক, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁকে আক্রমণের ঘটনায় ধৃত এক মাদ্রাসা-ছাত্র পুলিসের জেরায় দাবি করেছিল, সে প্রফেসর জাফর ইকবালকে ‘ইসলামের শত্রু’ মনে করে।
সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। এই উপমহাদেশে শান্তি-সুস্থিতি প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত হল—ধর্মনিরপেক্ষতা ও সহিষ্ণুতা। যথার্থ ধর্মনিরপেক্ষ সহিষ্ণু ভারত ছাড়া আর কে তার প্রেরণা হতে পারে? ভারতের উচিত, এই চাহিদায় নিজেকে প্রশ্নাতীত প্রমাণ করা, সহিষ্ণুতার ঐতিহ্য জলাঞ্জলি দেওয়া নয়। কে বলতে পারে সেই পবিত্র আলো-হাওয়ায় পাকিস্তানও কোনও একদিন যুক্তিবাদের গুলবাগিচা হয়ে উঠবে না!  
17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন?
বিশদ

09th  January, 2020
একনজরে
 আমেদাবাদ, ১৭ জানুয়ারি (পিটিআই): সমস্ত বিদেশি কোম্পানিকে আইন মেনে ভারতে বিনিয়োগ করতে হবে। আমাজনের লগ্নি নিয়ে মন্তব্যের পর শুক্রবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ...

 সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: মেগা ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করছে কেন্দ্র। কৃষক থেকে শ্রমিক। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী থেকে ক্ষুদ্র ঋণগ্রাহকের সংখ্যা। মোদি সরকার বিভিন্ন ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অন্যান্য পুরসভাগুলির সঙ্গে আগামী পুরভোটে উত্তর দমদম, দক্ষিম দমদম এবং দমদম পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা শুক্রবার প্রকাশিত হল। সেই তালিকা অনুযায়ী কোথাও চেয়ারম্যান, কোথাও চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল এবার নিজের জেতা ওয়ার্ডে ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না। ...

বিএনএ, আরামবাগ: পথ দুর্ঘটনায় আরামবাগে মৃত দুঃস্থ যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে আর্থিক সাহায্যের জন্য পথে নামলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের স্থানীয় যুবকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে শহরে সম্প্রীতির এমন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০১৮ – বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭১.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৯১.২২ টাকা ৯৪.৫১ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৪৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৩৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮,৯৪৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, নবমী ৫৪/৫ দিবা ৪/১। স্বাতী ৪৪/৪১ রাত্রি ১২/১৬। সূ উ ৬/২৩/৪, অ ৫/১০/৩৪, অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/১২ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
৩ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, অষ্টমী ৬/৩২/৩৮ দিবা ৯/২/৫৩। স্বাতী ৫২/৪১/৩১ রাত্রি ৩/৩০/২৬। সূ উ ৬/২৫/৫০, অ ৫/৯/৩২, অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬/১৯ মধ্যে ও ৩/৪৯/৪ গতে ৫/৯/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৯/৪ মধ্যে ও ৪/৪৬/১৮ গতে ৬/২৫/৫৫ মধ্যে। 
২২ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। বৃষ: বুঝেশুনে পদক্ষেপ করলে ভালো হবে। মিথুন: উপার্জন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম১৯৯৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ট্যাংরায় গাড়ি পার্কিং এলাকায় ভেঙে পড়ল গেট, কিশোরীর মৃত্যু
ট্যাংরার ডি সি দে রোডের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় গেট ...বিশদ

06:16:44 PM

মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনা, গুরুতর জখম অভিনেত্রী শাবানা আজমি
মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। ...বিশদ

05:25:00 PM

  কৃষি দপ্তরের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পঞ্চায়েত সহ সভাপতির বিরুদ্ধে
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কৃষি দপ্তরে কর্তব্যরত এক কর্মীকে মারধর করার ...বিশদ

03:39:00 PM

আলিপুরদুয়ারে গুপ্তধনের সন্ধান
গুপ্তধনের সন্ধান মিলল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার আলিনগরে। আজ শনিবার ১০০ দিনের ...বিশদ

03:28:46 PM