উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
জখম নিরাপত্তারক্ষী রাজেশ হালদারের দাবি, ইটাহার থানার কামারডাঙা এলাকার বাসিন্দা সাত্তার আলি এদিন জোর করে মুখে পান নিয়ে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন তিনি বাধা দেন। এরপরই আমার উপর চড়াও হন সাত্তার। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরের অভিযোগে রোগীর পরিবারের এক সদস্যকে আটক করে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিবাদের সমাধান হয়ে যায়। এই ঘটনায় হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
যদিও রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, মেডিক্যালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
রাজেশবাবু বলেন, পান বা গুটখা খেয়ে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢোকার উপরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাত্তারের জামাইবাবু আমজাদ আলি পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাসপাতালের পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন সাত্তার পান খেয়ে জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করে। সাত্তারের সঙ্গে তার পরিবারের লোকেরাও ছিলেন। সাত্তারের মুখে পান থাকায় আমি তাকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেই। তখনই সে ও তার পরিবারের লোকেরা আমাকে ও আরও তিনজন নিরাপত্তারক্ষীকে চড়, ঘুষি ও লাথি মারে।
যদিও অভিযুক্ত সাত্তার বলে, নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে বাধা দেওয়ায় আমি মুখ থেকে পান ফেলে ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করি। সেইসময় তারা আমাকে গালাগালি করে। আমি প্রতিবাদ করায় রাজেশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের একটি দল আমাকে ও আমার পরিবারের লোকেদের মারধর করেছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিনের আগেও গত ২ জানুয়ারি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের করিডরের সামনে ওয়ার্ডে ঢোকা নিয়ে চিকিৎসাধীন প্রসূতিদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে মহিলা নিরপত্তারক্ষীদের মারপিটের ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও বিগত দিনে ওয়ার্ডে ঢোকা বা বের হওয়া নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের একাধিকবার বচসা, গণ্ডগোল ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। পর পর এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা ও বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভিজিটিং আওয়ার নির্ধারিত রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে রোগীদের পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীদের দেখতে পারেন। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশের দাবি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের পরিবারের লোকেরা ভিজিটিং আওয়ারের বাইরেও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেইসময় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বেঁধে যায়। নিজেদের দায়িত্ব পূরণের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় বলেও দাবি করেন তাঁরা।