মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, অনশনে বসা কয়েকজন ছাত্রীর অভিভাবক আমকে ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। এতগুলি ছাত্রীকে আটকানো উচিত হয়নি। আমি এবিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এবিষয়ে স্কুল কর্তপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সদর্থক পদক্ষেপ করবেন। ডিআই (মাধ্যমিক) নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, এই বিষয়ে আমি স্কুল কর্তপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে বলেছি। প্রয়জনে আমি নিজে গিয়েও আলোচনা করব। খুবই খারাপ ফল না হলে উচ্চ মাধ্যমিকে বসতে দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জগদ্ধাত্রী সরকার বলেন, এবিষয়ে আমি একা কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খরাপ ফলের পরেও পড়ুয়াদের উচ্চ মাধ্যমিকে বসতে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের নির্দেশ দিতে পারে না। এবিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। অনেক স্কুলেই টেস্টে আটকে দেওয়া হয়েছে। শুধু আমাদের স্কুলের প্রতি কেন এমন হচ্ছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, টেস্টে ৪২ জন ফেল করেছিল। পরে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে চার জনকে অ্যালাউ করা হয়েছে। বর্তমানে ফেলের সংখ্যা ৩৮ জন। পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে কেউ কেউ চার-পাঁচটি বিষয়েই ফেল করেছে। ৮০ নম্বরের মধ্যে ২৪ নম্বর পেলেই পাশ। কিন্তু সেই নাম্বারটাও অনেকে তুলতে পারেনি।
বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে গত মঙ্গলবার ছাত্রীরা পিডব্লুডি মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল। তারপরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় পরদিন স্কুলের গেটের সামনে চার জন ছাত্রী অনশনে বসে। এনিয়ে শহরের বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে সরব হয়েছে। শনিবার রাতে অনশনকারীদের সঙ্গে পুলিস কর্মীরা কথা বলেন। স্কুলের বেশকিছু প্রাক্তন ছাত্রীরাও তাদের বোঝান। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার দাবি থেকে তারা সরে আসেনি। পরে দুই অভিভাবক এসে দুই ছাত্রীকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেসময় ওই ছাত্রীর অভিভাবকও তাদের সঙ্গে বসে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরে করিম সাহেবকে বিষয়টি জানিয়েয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
আজাদ হুসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে কেউ যে কোনও দাবিতে আন্দোলন করতে পারে। আমার মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে বসার দাবিতে আন্দোলন করেছে। তাদের এই আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি। শনিবার রাতে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। না খেয়ে থাকার কারণে আমার মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কিন্তু তারপরও পুলিস বা প্রশাসনের কেউ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। আমি নিজেও নিয়ে যাইনি। পরে জল খাইয়ে সুস্থ করে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। সমস্ত ঘটনা করিম সাহেবকে জানিয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বরবরই এই স্কুলের ভালো হয়। সেজন্য স্কুলটির সুনাম আছে। কিন্তু ছাত্রীদের আন্দোলনের ঘটনা এবারই প্রথম।