বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামের দুর্গাকিংকর সদনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় আসন বিন্যাসের ব্যবস্থাপনার যে নির্দেশ এর আগে জেলা প্রশাসনের হাতে এসেছিল তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে গৌরবাবুর বসার কথা ছিল না। বৈঠকে মঞ্চের সামনেই তাঁর বসার ব্যাপারে নির্দেশ এসেছিল খোদ কলকাতা থেকে। এই খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। প্রোটোকল মেনে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চেই বসার কথা জেলা পরিষদের সভাধিপতির। তাই হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজতে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে এদিন শেষ পর্যন্ত আর সভাধিপতিকে মঞ্চের সামনে বসতে হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই বসেছেন তিনি।
এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে সভাধিপতি বলেন, বৈঠকে আমাকে যেখানে বসতে দেওয়া হয়েছে, আমি সেখানেই বসেছি। এর বেশি কিছু বলব না।
মালদহের জেলা প্রশাসনের সাফ কথা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় কার আসন কোথায় থাকবে, তা আমরা ঠিক করি না।
পুরোনো আসন বিন্যাস অনুযায়ী প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারি আমলাদের সঙ্গে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের বসার কথা ছিল। জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ রাজ্যের রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমতুল্য। প্রোটোকল অনুযায়ী, জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের উপরে সভাধিপতি রয়েছেন। ফলে সভাধিপতির মঞ্চের নীচে বসা নিয়ে জেলা প্রশাসনের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়।
তবে এদিন সন্ধ্যায় সভা শুরু হলে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর ডানপাশে খানিকটা ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে চলাচলের জন্য। তার পাশেই আসন দেওয়া হয়েছে গৌরবাবুকে। সমস্ত বিতর্কে জল ঢালতেই এই ব্যবস্থা কি না, এদিনের সভার পর থেকে সেই আলোচনা শুরু হয়েছে।