বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
মঙ্গলবার গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেলা পরিষদের সমস্যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মঞ্চে তিনি প্রথমে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কোথায় তা নিয়ে খোঁজ করেন। এরপর জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন জেলা পরিষদের উন্নয়ন কেন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। উত্তরে জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, সভাধিপতি কোনও বৈঠক ডাকছেন না। আমি বৈঠক ডাকলে সভাধিপতি ও জেলা পরিষদের পাঁচ সদস্য আসেন না। এতে বেজায় রুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে কড়া ভাষায় বলেন, পাঁচজন বেশি না ১৩ জন বেশি? এটা বিয়ে বাড়ি নাকি যে সবাইকে ডাকতে হবে? দ্রুত সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্গাকে নিয়ে কাজ করুন। পাশাপাশি জেলা পরিষদের আইনি সমস্যা হলে জেলাশাসককে শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। শঙ্কর চক্রবর্তী জেলার এক নম্বর আইনজীবী বলে বৈঠকে তাঁর প্রশংসাও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়ের দাবি, জেলাশাসক যে সব দাবি করেছেন তা একেবারে ভিত্তিহীন। বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে আমার ফোন তিনি রিসিভ পর্যন্ত করেন না। দেখা করতে গেলে দেখা করেন না। আমি মিটিং ডেকে চিঠি দিলেও জেলাশাসক কোনও উত্তর দেন না। আমিও চাই জেলার উন্নয়ন হোক। জেলা পরিষদের অচলাবস্থা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে নিজের পিঠ বাঁচাতে জেলাশাসক অসত্য কথা বলেছেন। সভায় অনুপস্থিতির ব্যাপারে সভাধিপতি বলেন, আমাকে সভার কথা জানানোই হয়নি। সভায় আমন্ত্রণ না পেলে আমি সেখানে যাই কেমন করে। এদিকে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা বলেন, জেলা পরিষদে আমাদের কিছু সমস্যা চলছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে উন্নয়নের কাজ চালু করতে হবে। আশা করছি এনিয়ে প্রশাসন দ্রুত উদ্যোগী হবে।