বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দেশের পূর্বাঞ্চলে অসমের দিকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে রাতের দিকে আরও ঠান্ডা ঘনীভূত হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাতও হয়েছে।
সিকিম মৌসম ভবনের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার উৎপত্তি হয়েছে কাশ্মীরে। ওর প্রভাব পড়েছে পাহাড় ও উত্তরের সমতল এলাকাগুলিতে। তবে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ক্রমশ অসমের দিকে সরে যাচ্ছে। তারই জেরে আকাশ মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন হওয়ায় হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়েছে। সেজন্যই কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। তবে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অসমের দিকে সম্পূর্ণটা সরে গেলে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এদিন কোচবিহারে আকাশ ছিল মেঘলা। সকালে গোটা জেলাই কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল। দুপুরে হালকা একটু রোদ উঠেই মিলিয়ে যায়। ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়, সঙ্গে নেমে যায় তাপমাত্রা। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেককেই শীতের পোশাক গায়ে চাপিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। যাঁরা মোটর বাইক চালান তাঁদের কেউ কেউ গায়ে জ্যাকেটও চাপিয়ে নেন।
আলিপুরদুয়ারেও এদিন দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। রোদের তেমন জোর ছিল না। সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টিপাত হয়। ফলে এদিন বেশ ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হয়। আলিপুরদুয়ারে দুপুরেও কুয়াশার আস্তরণ ছিল। হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়ায় পথ চলতি মানুষকে সোয়েটার, জ্যাকেট গায়ে দেখা যায়। বৃষ্টির জন্য সন্ধ্যার পর শহরের রাস্তাঘাটও ফাঁকা ছিল।
বৃষ্টি না হলেও জলপাইগুড়িতেও এদিন আকাশ ছিল দিনভর মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াশার চাদরে মোড়া। গোটা দিনে রোদের তেজ ছিল না বললেই চলে। ঠান্ডার কারণে জলপাইগুড়িতেও অনেকের গায়ে শীতের পোশাক ছিল। শিলিগুড়িতে এদিন দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তাপমাত্রা অনেকটা নীচে নেমে যায়। ফলে ঠান্ডা অনুভূত হয়। গায়ে সোয়েটার, জ্যাকেট, চাদর চাপিয়ে কমবেশি সকলেই বাড়ি থেকে বের হন। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সিকিম ও দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এদিন কোথাও কোথাও তুষারপাত ঘটেছে। জলপাইগুড়ির আবহাওয়াবিদ শুভেন্দু সরকার বলেন, বাতাসে আদ্রতা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। বলা যায়, উত্তরবঙ্গে শীতের প্রবেশ ঘটেছে।