বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
লিচুতলার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডল বলেন, আমরা এর আগে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে এলে তাঁকে একই জায়গায় মৌখিকভাবে আমাদের পাট্টা প্রদানের বিষয়ে বলেছিলাম। তখন কোনও চিঠি দিতে পারিনি। তিনি তখন চিঠি চেয়েছিলেন। সেকারণে এবারে তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সমস্যার কথা বলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন হয়ে যাবে।
সোমবার কর্মিসভা, মদন মোহন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী রাসমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চে যান। সেখান থেকে তিনি সার্কিট হাউসে পৌঁছন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সড়ক পথে কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলেন। সুনীতি রোড ধরে তাঁর কনভয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে পৌঁছয়। সেখানে আগে থেকেই সেখানে লিচুতলার বাসিন্দারা হাতে আবেদনপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এসে তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। তখন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের সমস্যার বিষয়টি জানান। লিখিত আবেদনপত্রও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। লিচুতলায় ৬৯টি পরিবার রয়েছে। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সেখানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জমির পাট্টা পাননি। এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এলে তাঁরা এব্যাপারে জানিয়েছিলেন। তারপর এদিন তাঁরা লিখিত আবেদনপত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন।
সোমবার থেকেই কোচবিহারের সার্কিট হাউস চত্বর কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেও ওই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস। দুপুরে সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে সুনীতি রোড ধরে স্টেডিয়াম ময়দানে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। সেখান থেকেই হেলিকপ্টারে করে তিনি গঙ্গারামপুরের দিকে রওনা হন।