সংবাদদাতা, মালবাজার: শনিবার সকালে মেটেলি ব্লকের আইবিল চা বাগান থেকে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই বিকালে মেটেলির বড়দিঘি চা বাগানে চিতাবাঘের হামলায় এক শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’টি এলাকাতেই আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চালসার মঙ্গলবাড়ি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে বাগানের পাহাড়িয়া লাইনের বাসিন্দা ৪টা নাগাদ তারসেন ভূমিজ নামে ওই শ্রমিক কাজ সেরে একাই বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় চা বাগানের ১৫ নম্বর সেকশনে ঝোঁপের মধ্যে থেকে একটি চিতাবাঘ বেরিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর সারা শরীরে নখের আঁচড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। তাঁর চিৎকার শুনে বাসিন্দারা ছুটে এলে চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বনদপ্তরের খুনিয়া রেঞ্জ জানিয়েছে, জখম ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যয়ভার বনদপ্তর বহন করবে। অন্যদিকে, এদিন সকালেই মেটেলি ব্লকের আইবিল চা বাগানের ১৬ নং সেকশনে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে নালার মধ্যে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহটি দেখতে পান। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগের অনারিয়াম ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, বড়দিঘিতে জখম ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যয়ভার বনদপ্তর বহন করবে। আইবিল চা বাগানে উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে গোরুমারায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মেটেলি ব্লকের বড়দিঘি ও আইবিল চা বাগান চিতাবাঘ উপদ্রুত এলাকা বলে পরিচিত। বড়দিঘিতে পরপর বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। এই বাগানের বহু শ্রমিক চিতাবাঘের হামলায় জখম হয়েছেন। সম্প্রতি চা বাগানের এক সহাকারী ম্যানেজার চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়েছিলেন। ওই বাগানে এমন পরিস্থিতি যে শুনশান রাস্তায় কোনও মানুষ একা যেতে ভয় পায় ।এই চা বাগানে বড় হোক আর ছোট হোক একা মানুষকে পেলেই চিতাবাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে। এদিনও তারসেন বাবু অনেকের সঙ্গে কাজ করে একটি সহজ রাস্তায় একাই ফিরছিলেন। এই সুযোগে চিতাবাঘটি তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অন্যদিকে আইবিল চা বাগানেও চিতাবাঘের হামলায় শ্রমিকরা অতিষ্ঠ। এই চা বাগানেও আগে বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে।