কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
কোচবিহারের পশুপ্রেমী ও সমাজকর্মী রাজা বৈদ্য বলেন, রাতে খবর পেয়েই আমরা পুলিসের উপস্থিতিতে মৃত কুকুর শাবকগুলিকে উদ্ধার করেছি। আমাদের সন্দেহ শবকগুলিকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই ও ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। শহরের আর এক পশুপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক সম্রাট বিশ্বাস বলেন, একসঙ্গে এতগুলি কুকুরের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য রয়েছে। গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। সরকারি পশু চিকিৎসক রাজারাম ঘোষ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা এগুলি একদিনে মরেনি। সম্ভবত না খেতে পেয়েই মারা গিয়েছে। তবে আমরা মৃত শাবকগুলির শরীরের কিছু নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাচ্ছি। কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে কুকুরগুলির শরীরের বাইরে ও ভিতরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
শুক্রবার রাতে কোচবিহার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিকুটির ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি মৃত কুকুর শাবক রয়েছে বলে একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের কাছে ফোন যায়। সংগঠনের প্রতিনিধিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিস গিয়ে পশুপ্রেমীদের সহযোগিতায় মৃত কুকুরগুলিকে উদ্ধার করে। এদিকে দু’টি কুকুর শাবককে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় ওই জায়গায় পাওয়া যায়। সেগুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়। এদিকে মৃত কুকুরগুলিকে নিয়ে পুলিসও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। পুলিস কর্মীরাই শাবকগুলিকে সংরক্ষণের জন্য গভীর রাতে বরফ জোগাড় করেন। এদিকে রাতে পশু হাসপাতালে গিয়েও মৃত কুকুরগুলিকে রাখার মতো ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এনিয়ে পশুপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। এরপর একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের রেসকিউ সেন্টারে রাতে মৃত কুকুরগুলিকে রাখা হয়। এক্ষেত্রেও পুলিস সহযোগিতা করে। সকালে পশুপ্রেমীদের একাংশ গোটা ঘটনার তদন্ত চেয়ে সরকারি পশু হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিসের কাছেও তারা স্মারকলিপি জমা দেয়। হাসপাতাল চত্বরে পুলিস মোতায়েন করা হয়। এদিকে এনআরএসের ঘটনার পর কোচবিহারে মৃত কুকুর শাবক নিয়ে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য পুলিস সতর্ক পদক্ষেপ করে। পুলিসকর্তারাও বার বার বিভিন্ন মহলে ফোন করে ঘটনার ব্যাপারে জানার চেষ্টা করেন।
পশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃত একটা কুকুরের শরীরের অনেকটা অংশ পচে গিয়েছে। তার দুটি কান কাটা অবস্থায় ছিল। তলপেটে ও মাথার একাংশের ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন ছিল। অন্য একটি কুকুরের শরীরে পচন ধরেছে। অন্তত চার পাঁচ দিন আগে এগুলি মারা গিয়েছে। সকলেরই পেট ফোলা ছিল। অপর তিনটি কুকুর শুক্রবারই মারা গিয়েছে বলে চিকিৎসকদের ধারণা। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, সম্ভবত অপুষ্টি ও কয়েকদিন না খেতে পাওয়ার কারণে শীতে কুকুরগুলির মৃত্যু হয়েছে। তবে সবগুলি কুকুর একই দিনে মারা যায়নি। এদিনই শালবাগানে কুকুরগুলিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।