বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এখন ব্রিটেনে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য দু’রকম বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া অ্যাম্বার তালিকায় থাকা দেশের বাসিন্দাদের ব্রিটেনে ১০ দিনের সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হয়। ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে অ্যাম্বার তালিকাভুক্ত দেশগুলি থেকে আগতদের টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে আর সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে না। এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে বরিসের মন্ত্রিসভা। অন্যদিকে, রয়েছে লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলি। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলি রয়েছে লাল তালিকায়। মূলত ভারতকে দীর্ঘদিন ধরে লাল তালিকায় রাখার বিরুদ্ধেই জনমত সংগ্রহ শুরু করেছে ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়রা। উদ্যোক্তাদের আরও দাবি, টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলি থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নীতি তুলে দিতে হবে। ইতিমধ্যে এই দাবিতে স্বাক্ষর করেছেন ২২ হাজার ৬০০-র বেশি মানুষ। নিয়মানুসারে কোনও আবেদনে ১০ হাজারের বেশি স্বাক্ষর জমা পড়লে প্রশাসনকে এই নিয়ে উত্তর দিতে হয়। আর উত্তর দিতে গিয়ে ব্রিটিশ প্রশাসন এই আর্জিগুলি খারিজ করার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে উদ্যোক্তারা নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়েছেন। লক্ষ্য, এক লক্ষ স্বাক্ষর জোগাড় করা। কারণ, এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে সংসদে।
লাল তালিকাভুক্ত দেশ থেকে আগতদের হোটেলে আইসোলেশনে থাকার জন্য ১ হাজার ৭৫০ পাউন্ড (১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা) দিতে হয়। এই বিপুল খরচ বহন করা সবার পক্ষে সম্ভব নয় বলে ইতিমধ্যে আদালতে মামলা হয়েছে। গরিবদের জন্য ‘ফি ছাড়’-এর ব্যবস্থা করা হবে বলে আদালতে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী।