বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? সেই পথ খুঁজতেই এখন দিনরাত এক করে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে বেলজিয়ামের উপকূলীয় শহর ওসেন্ডের বাসিন্দা ১১ বছরের সাইমনস। ইতিমধ্যেই সে আন্তভের্প বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অন্যদের তিন বছর সময় লাগলেও সাইমনসের এই ডিগ্রি অর্জনে লেগেছে মাত্র এক বছর। গোটা বিশ্বে এখন সে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম স্নাতক। যদিও এই রেকর্ড নিয়ে মোটেই মাতামাতি করতে চায় না সে। কারণ, তাঁর একমাত্র লক্ষ্য জ্ঞান অর্জন।
ছোট থেকেই একের পর এক নজির গড়ে চলেছে সাইমনস। দেড় বছরে সে হাইস্কুলের পাঠ শেষ করে হাতে পেয়ে যায় শংসাপত্র। তখন তার বয়স মাত্র আট বছর। গত বছরের এপ্রিলে ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স ও কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপর কোর্স শুরু করেছিল সাইমনস। এগুলি সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছিল সে। তাই বাকি সমস্ত কাজ স্থগিত রেখে শুধু এ বিষয়েই মনোনিবেশ করে।
সাইমনস জানিয়েছে, অমরত্বই তার একমাত্র লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগতে চায় সে। তাঁর কথায়, ‘যতটা সম্ভব যন্ত্রাংশ দিয়ে আমার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে চাই। আর তা কীভাবে করা সম্ভব সে ব্যাপারে ছক কষে ফেলেছি আমি।’ লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপ হিসেবে সে হাতিয়ার করতে চায় কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে।
অমরত্বের পথ খুঁজতে গোটা পৃথিবীর সেরা অধ্যাপক-গবেষকদের সঙ্গে কাজ করতে চায় সাইমনস। তার কথায়, ওইসব বিখ্যাত মানুষেরা কে, কী ভাবছেন, তা জানতে চায় সে। তাঁদের ভাবনার সঙ্গে একবার যাচাই করে নিতে চায় নিজেকে। সেটাই তার অমরত্বের লড়াইয়ের পাথেয়।