বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
২০১৯ সাল। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আধাসেনার কনভয়ে হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। গুঁড়িয়ে দেওয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশের ঘাঁটি। তারপরই সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। এর মধ্যে, ভুলবশত শ্রীনগরের কাছে এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারকে নিশানা করে বায়ুসেনা। স্পাইডার এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম থেকে আঘাত হানা হয়। মৃত্যু হয় হেলিকপ্টারে থাকা ছয় বায়ুসেনার আধিকারিকের। এই ঘটনায় পাঁচ আধিকারিককে দোষী সাব্যস্ত করেন আধিকারিকরা।
ভুল করে নিজের বা বন্ধুদেশের বিমান-হেলিকপ্টারে সম্ভাব্য সবচেয়ে বেশিবার হামলা করেছে আমেরিকা। এর মধ্যে, সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৪ সালে। পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে বিভিন্ন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ পাঠাচ্ছিল। কিন্তু, সেই বছরের ১৪ এপ্রিল আমেরিকান সেনার দুটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারকে নিশানা করে মার্কিন বায়ুসেনা। হেলিকপ্টারগুলিতে ১৫ মার্কিন নাগরিক সহ মোট ২৬ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়।
এই তালিকায় তৃতীয় ঘটনাটির সঙ্গেও জুড়ে রয়েছে আমেরিকার সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উদ্ধার করতে আসা একটি বিমানে আঘাত হানে তারা। ওই বিমানে মার্কিন প্যারাট্রুপাররা ছিলেন। হতাহত হন প্রায় ৩০০ জন। মার্কিন সেনার ইতিহাসে একে অন্যতম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় আমেরিকান সেনা নিশানা করেছিল রয়্যাল ব্রিটিশ এয়ার ফোর্সের বিমানকে। দীর্ঘদিন ধরে সেটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ব্রিটেন জানায়, মার্কিন সেনার হানাতেই সম্ভবত বিমানটি ধ্বংস হয়েছে।
১৯৫৬ সালে আবার একটি আমেরিকান যুদ্ধবিমান নিজেকেই নিশানা করেছিল। অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। সেনার তরফে বলা হয়েছিল, পরীক্ষামূলক মহড়ার সময় বিমানটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। যুদ্ধবিমানের ২০ এমএম ক্যানন থেকে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের উপকূলে লক্ষ্যবস্তুকে গোলা ছোঁড়া হয়। কিন্তু, এয়ারক্র্যাফ্টটির গতিবেগ গোলার গতিবেগের থেকে বেশি ছিল। ফলে, গোলাটি ওই বিমানেই আঘাত করে।