বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বাকিংহাম প্যালেসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে হ্যারি-মেগানের তরফে জানানো হয়েছে, ‘শুধুমাত্র রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে থাকার বদলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি। অবশ্য রানির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’ আরও জানানো হয়েছে, ‘দীর্ঘ বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনার পরই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজপরিবারের অংশ হিসেবেই আমরা এই নতুন বছরে প্রগতিশীল ভূমিকা পালন করতে চাই। আমরা আমাদের সময় ব্রিটেন ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে ভাগ করতে চাই।’
হ্যারি ও মেগানের এই ঘোষণার পরেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মুখপাত্র সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘এনিয়ে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্সের সঙ্গে আলোচনা একদম প্রাথমিকস্তরে রয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি, তাঁরা পৃথক একটি ভূমিকা নিতে চান। কিন্তু এই বিষয়গুলি অত্যন্ত জটিল। তাই এই বিষয়গুলির জন্য আরও সময় প্রয়োজন।’ জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে রাজপরিবারের খ্রিস্টমাস উৎসবে যোগ দেওয়ার বদলে ছোট ছেলে আর্চি হ্যারিসন মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসরকে সঙ্গে নিয়ে মেগানের মা ডোরিয়া রেগল্যান্ডের সঙ্গে কানাডায় ছুটি কাটান ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স। সেই ঘটনার পরেই গতকাল এই ঘোষণা করেন হ্যারি ও মেগান।
দাদা যুবরাজ উইলিয়ামের সঙ্গেও যে হ্যারির সম্পর্কে জটিলতা এসেছে, তার প্রমাণ মিলেছিল গত অক্টোবরেই। টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে হ্যারি জানিয়েছিলেন, তিনি ও উইলিয়াম— দু’টি ভিন্ন পথে চলছেন। হ্যারি বলেন, ‘আগের মতো এখন আর আমাদের দেখা হয় না। কারণ আমরা দু’জনেই এখন প্রচণ্ড ব্যস্ত। তবে আমি ওকে অত্যন্ত ভালোবাসি।’ অন্যদিকে, প্রাক্তন অভিনেত্রী মেগান জানিয়েছিলেন, সর্বদা সংবাদমাধ্যমের নজরে থেকে মা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন অত্যন্ত কঠিন। উইলিয়ামের স্ত্রী কেটের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য রয়েছে বলেও খবর ছড়িয়েছিল। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও মেগান জানিয়েছিলেন, হ্যারিকে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকার জন্য বন্ধুরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
গত বছর রাজ পরিবারকে কেন্দ্র করে একের পর এক ঘটনা ঘটে। খ্রিস্টমাসের দিনের বার্তায় রানির কথাতেও বিষয়টির আভাস মেলে। ২০২০ সালে সবকিছু নতুন করে শুরুর বিষয়ে প্রত্যাশী ছিলেন রাজপরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বছরের শুরুতেই হ্যারি-মেগানের এই ঘোষণা তাঁদের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে।