শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
এক চিঠিতে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইয়ান লাভেরি জানিয়েছেন, দলের বার্ষিক সম্মেলনে কাশ্মীর নিয়ে ইমার্জেন্সি মোশন পাশ করা হয়েছিল। এই মোশনে বলা হয়েছিল, কাশ্মীরে মানবাধিকার সংক্রান্ত সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। পাশাপাশি, কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষেও সওয়াল করা হয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতের পাশাপাশি ব্রিটেনে বাসরত ভারতীয়দের বড় অংশ প্রবল অসন্তুষ্ট হয়। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের একটা বড় অংশ কনজারভেটিভ পার্টিকে ভোট দেওয়ার কথাও জানায়। ঘটনার প্রতিবাদে ১০০টিরও বেশি ভারতীয় সংগঠন জেরেমি করবিনকে চিঠিও লেখেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও লেবার পার্টির এই ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়। এমনকী, লেবার পার্টির তরফে মাত্র একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে প্রার্থী করা নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠে। লেবার ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়া একটি বিবৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, আজ পর্যন্ত যে আসনগুলিতে লেবার পার্টি জিতে আসছে বা যে সমস্ত জায়গায় ভারতীয়রা বেশি সংখ্যায় থাকেন, সেই সমস্ত আসনে কেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে প্রার্থী করা হয়নি?
নিজের লেখা চিঠিতে লাভেরি আরও জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে লেবার পার্টি ভারত বা পাকিস্তানের পক্ষে কোনও অবস্থান নেবে না। কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ হোক, তা কখনই কাম্য নয়। কারণ কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে এই জটিলতার নিরসন করতে হবে। যাতে কাশ্মীরের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়।
কাশ্মীর নিয়ে লেবার পার্টির চেয়ারম্যানের চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরে নির্বাচনী ইস্তাহারে এই বিষয়ে তাদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়েই আপাতত ব্রিটেনজুড়ে জোর জল্পনা চলছে।