কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
ভরা ভোট মরশুমে প্রধানমন্ত্রী একটি মুসলিম দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ায় দৃশ্যতই উচ্ছ্বসিত নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এদিন ট্যুইটারে বলেছেন, আজ ভারতবাসীর গর্বের দিন। আরব আমির শাহির অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন স্মারক-সম্মান পাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। সেদেশের প্রেসিডেন্ট সরকারিভাবে এ কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাদরে গ্রহণ করছি। সেই সঙ্গে সৌদির রাজকুমারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, আরব আমির শাহি আমাদের অত্যন্ত ভালো বন্ধু রাষ্ট্র। সে দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করার ক্ষেত্রে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সেই উদ্যোগ ও পরিকল্পনাকে আজ সম্মানিত করল আরব আমির শাহি।
রাজকুমারের পদ অলঙ্কৃত করার পাশাপাশি আরব আমির শাহির সেনবাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডারও মহম্মদ বিন জায়েদ। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদি দু’বার আরব আমির শাহি গিয়েছেন। বৈঠক করেছেন জায়েদের সঙ্গে। শেষবার গিয়েছিলেন গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। তখনই সেদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেল, মানবসম্পদ উন্নয়ন সহ মোট পাঁচটি ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের। আরব আমির শাহির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতেও মোদি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন সে সময়। মোদির সেই সব উদ্যোগকে এদিন ‘ঐতিহাসিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে জায়েদ বলেছেন, আমাদের মিত্র রাষ্ট্র ভারত। আমার ‘প্রিয় বন্ধু’ সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক চেষ্টায় দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। তাঁকে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মান জানাতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। আরব আমির শাহির সংবাদপত্র ‘খলিজ টাইমস’ও মোদিকে সম্মান জানানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, আমির শাহির এই পদক্ষেপ ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।