কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে আচমকাই তীব্র ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ের দাপটে একাধিক গাড়ি উল্টে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়তে থাকে ঝড়ের তীব্রতা। হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গিয়ে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। ধসে পড়ে বহু বাড়ি। এই বাড়িগুলির তলায় অনেকে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সরকারি আধিকারিকরা। ঝড়ের দাপটে উপড়ে যায় বহু গাছ। বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়। ঝড়বৃষ্টির সময়ে কিছুক্ষণের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকলেও পরে তা আবার চালু করা হয়। হাইওয়ে সহ বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের দাপটে অন্তত ১২টি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। দুর্ঘটনা এড়াতে এই বাসগুলিকে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও জানা গিয়েছে, দক্ষিণ নেপালের বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টি চললেও সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারা ও পারসা এলাকা। উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পর পারসায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন স্থানীয় আধিকারিকরা। প্রভিন্স ২ অ্যাটর্নি জেনারেল দীপেন্দ্র ঝা জানান, প্রাকৃতিক তাণ্ডবে জখম ৬০০ জনের মধ্যে অধিকাংশই ফেটা ও ভুলাহি ভারওয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা। তবে ঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, সেই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। বারার চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার রাজেশ পৌডেল জানিয়েছেন, পুলিসের পাশাপাশি দুই ব্যাটেলিয়ন নেপালের সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। এদিন উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকের পর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারপিছু তিন লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নেপাল সরকারের তরফে তাঁবু, খাবার, ওষুধ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করার নেপাল সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে প্রদেশ সরকারও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ করে পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। নিজের জেলা ঝাপায় পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিও পরিদর্শন করেন তিনি।