যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
মারাঠাভূমে বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেলেও গেরুয়া শিবিরের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। ভোটের ফল প্রকাশের পরে ন’দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক দাবি পর্যন্ত জানায়নি তারা। এখানেই শেষ নয়, সারাদিন তিন শহরে বসে ছিলেন মহাযুতি জোটের তিন ‘মহারথী’। ফড়নবিশ মুম্বইতে। থানেতে ছিলেন একনাথ সিন্ধে। আর ‘ব্যক্তিগত কাজে’ অজিত আছেন দিল্লিতে।
গত কয়েকদিন থেকেই শরীর ভালো যাচ্ছে না একনাথ সিন্ধের। জ্বর ও গলায় সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছেন। এদিন সকালে মহারাষ্ট্রের বর্তমান তদারকি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভর্তি হন জুপিটার হাসপাতালে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু শরীর নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হাতছাড়া হতে দেখে মানসিকভাবেও ‘মুষড়ে পড়েছেন’ শিবসেনা প্রধান। সেকথা জানিয়েছেন বিজেপির আর এক শরিক শরিক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে আরপিআই(এ) প্রধান বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী পদ একনাথ সিন্ধেকে আর ছাড়তে রাজি নয় বিজেপির হাইকমান্ড। সেকথা তারা স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছে। একথা জানার পরে তিনি (সিন্ধে) হতাশ।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমি মনে করি সিন্ধে মন্ত্রিসভায় ফড়নবিশ যেভাবে উপ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন, একইভাবে সিন্ধের উচিত উপ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করা। তা না হলেও সিন্ধের মহাযুতির চেয়ারম্যান বা কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়া উচিত।’ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী যে ফড়নবিশ হতে চলেছেন, তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন আটওয়ালে। বলেন, ‘বিজেপি মনে করে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ তাদের প্রাপ্য এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এখনও কিছু জানায়নি।’ আজ, বুধবার বৈঠক বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠক। এখানেই ফড়নবিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলনেতা নির্বাচিত করা হতে পারে। সূত্রের খবর, তার পরে
সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাজভবনে যেতে পারেন গেরুয়া জোটের নেতারা। তার পরেও কি নাটক থামবে? - ফাইল চিত্র