যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
ভোট আটকাতে মাঠে নামে প্রশাসন। কোনওরকম জমায়েত ঠেকাতে সোমবার থেকেই ওই গ্রামে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা (পূর্বতন ১৪৪ ধারা) জারি করে প্রশাসন। বাসিন্দাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিস বাহিনীও। বন্ধ করে দেওয়া রাস্তা। আইন ভাঙলে মামলা দায়েরেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
মর্করওয়াড়ি গ্রামটি মহারাষ্ট্রের মালশিরাস বিধানসভা আসনের অন্তর্গত। ওই আসনে এবারের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাম সাতপুতেকে ১৩ হাজারের বেশি ভোট হারিয়েছেন শারদপন্থী এনসিপির উত্তম জানকর। কিন্তু মর্করওয়াড়ি গ্রামে জানকর পান ৮৪৩ ভোট আর সাতপুতে পান ১০০৩ ভোট। জানকর নিজেই ওই গ্রামের বাসিন্দা। রঞ্জিত মারকর নামে এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, তাঁদের গ্রামে দু’হাজার ভোটার। তার মধ্যে ১৯০০ জন এবার ভোট দিয়েছিলেন। তাঁরা বরাবরই জানকরকে ভোট দিয়ে এসেছেন। তাই সাতপুতে কোনওভাবেই বেশি ভোট পেতে পারেন না। মারকরের বক্তব্য, ‘এটা কখনই সম্ভব নয়। আমরা ইভিএমকে একেবারেই বিশ্বাস করি না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যালট পেপারে ফের ভোট হবে।’
ইভিএমে আপত্তি ও পুনর্নির্বাচনের দাবি নিয়ে প্রথমে প্রশাসনেরই দ্বারস্থ হয়েছিলেন মর্করওয়াড়ির বাসিন্দারা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যেতেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন নিজেরাই ভোটের আয়োজন করবেন। মঙ্গলবার ভোট হবে বলে গ্রামে ব্যানার পর্যন্ত টাঙানো হয়। ডেপুটি পুলিস সুপার নারায়ণ শিরগাওকর জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তর্জাও শুরু হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের বক্তব্য, যদি বিধানসভা ভোট কারচুপি না হয়ে থাকে, তাহলে গ্রামবাসীদের এভাবে বাধা দেওয়া হল কেন? বরং গ্রামবাসীদের ব্যালটে ভোটের পরও একই ফল এলে ইভিএমের উপরেই আস্থা বাড়ত। এদিকে, হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী সাতপুতে আবার এই ঘটনার জন্য দলেরই বিধান পরিষদ সদস্য রঞ্জিতসিং মোহিতে পাটিলের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, পাটিল প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছেন।