যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
কাউকে ভিডিও কল করে কয়েকদিন ধরে গৃহবন্দি করে ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। কাউকে ব্ল্যাকমেল করে বাধ্য করা হয়েছে সমস্ত সঞ্চয় অজানা অ্যাকাউন্টে ট্র্যান্সফার করে দিতে। মনস্তাত্ত্বিক ভীতি প্রদর্শন এবং ব্ল্যাকমেল এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, এক নারীকে ভিডিও কল চলাকালীন নগ্ন হতে বাধ্য করা হয়েছে। দেশজুড়ে প্রতারণার নবতম ভয়ঙ্কর রূপের নাম ডিজিটাল অ্যারেস্ট। অভিযোগের গভীরতার তুলনায় তদন্ত অথবা বিচার পাওয়ার অনুপাত নগণ্য। তবু যতটা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রও এর সঙ্গে জড়িত। কারণ মায়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও সন্ধান মিলেছে। অপরাধে আন্তর্জাতিক যোগসৃত্র। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের দায় নেই। সব দায় নাকি রাজ্য সরকারের। মঙ্গলবার লোকসভায় লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে। তাই ডিজিটাল অ্যারেস্ট সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধের দায়ও তাদের।
মাঝেমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতর্ক করছেন ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে। রবিবারও ভূবনেশ্বরে দেশের পুলিস কর্তাদের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও প্রধানমন্ত্রী সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন সাইবার ক্রাইমের উপর। ডিজিটাল অ্যারেস্ট, ডিপ ফেক এবং হ্যাকিং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নিজেই জোর দিচ্ছেন। অথচ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সব দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলল। প্রশ্ন করা হয়েছিল, সরকার কি জানে যে দেশে ডিজিটাল অ্যারেস্ট বেড়ে গিয়েছে? কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে? রাজ্যওয়াড়ি হিসাব দিন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিলিতভাবে কেন্দ্রীয় সরকার কি আর্থিক প্রতারণা ঠিকাতে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে? সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে? এই প্রশ্নাবলির উত্তরে লিখিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সঞ্জয় বান্দি বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী পুলিস রাজ্যের এক্তিয়ারে। তাই রাজ্য সরকার গ্রেপ্তার, তদন্ত, বিচার ব্যবস্থার জন্য দায়বদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেয়। আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যানও নেই।