নয়াদিল্লি, ১৭ মে: তাপপ্রবাহে জ্বলছে দিল্লি। নাজেহাল অবস্থা আমজনতার। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে হাফ সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। গরমের মাত্রা এমনই যে মানুষজন ঘর থেকেই আর বের হতেই চাইছেন না। দিল্লিবাসীদের একাংশ দাবি করেছেন, তাঁদের জীবনে এত গরম তাঁরা কখনও অনুভব করেননি। এরমধ্যেই নতুন বিপদ। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আপাতত বৃষ্টির আশা তেমন একটা নেই। তীব্র দাবদাহ আরও কয়েকটা দিন চলবে। আজ বিকেলের পর হতে পারে ধুলোঝড়ও। তাপপ্রবাহের কারণে ইতিমধ্যেই রাজধানীতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম এমন গরমের সাক্ষী থাকল দিল্লি। রাজধানীতে দাবদাহের অন্যতম বড় কারণ বৃষ্টির ঘাটতি বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। আপাতত খুব দরকার ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা রাখে এমন পাণীয় যেমন লেবুজল খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
গতকালই হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানায় আগামী আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলবে। আজ,মঙ্গলবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকেবে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছুঁতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও চলবে তাপপ্রবাহ। উত্তরপ্রদেশের বিক্ষিপ্ত অংশে লু বইতে পারে। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে ১৭ এবং ১৮ মে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে গিয়েছে। ১৬ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের কয়েকটি অংশ এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রায় সব অংশেই ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।  এও বলা হয়েছে, অনুকূল পরিস্থিতির জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এগিয়ে যাবে বর্ষা। ফলে শীঘ্রই কেরলে বৃষ্টি শুরু হবে। কেরলে সাধারণত ১ জুন বর্ষা শুরু হয়। কিন্তু এবার তা আগেভাগেই চলে আসবে বলে অনুমান। মনে করা হচ্ছে আগামী ২৭মে কেরলে ঢুকতে পারে বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেই এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।