পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
কী সেই রেওয়াজ? সাধারণত, পাঁচ বছর অন্তর রাজস্থান বিধানসভার ভোটে পালাবদলই দস্তুর। একবার কংগ্রেস, তো পরেরবার বিজেপি। দ্বিতীয়ত, গত দু’দশকে রাজস্থানে যখনই কংগ্রেসের বড় কর্মকাণ্ড হয়েছে, একবার অন্তর কেন্দ্রে পালাবদল হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে হেরে গিয়েছেন অশোক গেহলট। ২০০২ সালের ৮-৯ নভেম্বর রাজস্থানের মাউন্ট আবুতে বসেছিল কংগ্রেসের বিশেষ শিবির। ২০১৩ সালের ১৮-১৯ জানুয়ারি জয়পুর এবং ২০২২ সালের ১৩-১৫ মে হল উদয়পুরে। ঘটনাচক্রে তিনবারই এই কর্মকাণ্ডের সময় কংগ্রেস সভানেত্রী পদে সোনিয়া গান্ধী। আর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাজস্থানে অনুষ্ঠিত কর্মকাণ্ডের পর একবার অন্তর কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরেছে কংগ্রেস। ২০০৪ সালে জয়। ২০১৪তে হার। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে নিজেদের জন্য ‘পয়া’ হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। কিন্তু অশোক গেহলটের কী হবে? তাঁর জন্য কি অপেক্ষা করছে দুভার্গ্য? নাকি পালাবদলের রেওয়াজ বদলাতে পারবেন তিনি?
তথ্য বলছে, ২০০২ সালে রাজস্থানে কংগ্রেসের শিবিরের সময় টানা ছ’বছর কেন্দ্রে ক্ষমতার বাইরে ছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। তবে ১৪ রাজ্যে ছিল কংগ্রেসের শাসন। ২০১৩ সালের শিবিরের সময় কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় ৯ বছর। হাতে ১৩ টি রাজ্য। ওই শিবিরেই রাহুল গান্ধী পেয়েছিলেন বড় দায়িত্ব। আর এখন ২০২২-এ টানা আট বছর কেন্দ্রে ক্ষমতার বাইরে কংগ্রেস। হাতে মাত্র দুটি রাজ্য। রাজস্থান আর ছত্তিশগড়। তাই সদ্য শেষ হওয়া চিন্তন শিবির আগামী বছর (২০২৩ সাল) রাজস্থান বিধানসভার পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটে কংগ্রেসের ভাগ্যে কী লিখে রেখেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন একটাই, রাজস্থানের এতদিনের ‘রেওয়াজ’ কি মিলে যাবে?