পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে অবস্থিত শৃঙ্গার গৌরী স্থলে নিত্যদর্শন ও দৈনিক পুজোর অনুমতি চেয়ে বারাণসী জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন পাঁচজন মহিলা। আবেদনকারীদের সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে মসজিদের ভিতর, বেসমেন্ট ও পুকুরে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার ছিল ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার তৃতীয় দিন। সেইমতো পুকুর থেকে জল তুলে ফেলা হচ্ছিল। তখনই একটি শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয় বলে দাবি করেন হিন্দু মহিলা গোষ্ঠীর আইনজীবী সুভাষনন্দন চর্তুবেদী। তারপরেই মামলাকারীরা আদালতে যান এবং পুকুরটি সিল করে দেওয়ার আবেদন জানান। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে বারাণসীর জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মাকে পুকুরটিতে নামা-ওঠা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত।
যদিও শিবলিঙ্গ পাওয়ার খবরের নিশ্চয়তা দেননি জেলাশাসক। তাঁর কথায়, জ্ঞানবাপীর সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কমিশনের কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেননি। যাবতীয় তথ্যের জিম্মাদার আদালত। অন্যদিকে মসজিদের দায়িত্বে থাকা অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্মসচিব এস এম ইয়াসিন বলেন, আদালতের নির্দেশিকা মেনে আমরা সমীক্ষায় সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছি। তবে, মামলাকারীদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের পছন্দমতো যে সমস্ত দাবি করছেন, তাতে আমি বিদ্ধ। প্রসঙ্গত, আদালত নিযুক্ত কমিশনারের মসজিদের সমীক্ষা চালালেও তার বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। যদিও, গত ২১ এপ্রিল সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আবার হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি। তারমধ্যেই মসজিদ চত্বরের পুকুর থেকে উদ্ধার হল শিবলিঙ্গ।
জ্ঞানবাপী মসজিদের পুকুর থেকে শিবলিঙ্গ উদ্ধার হতেই মক্কা নিয়ে পুরনো বিতর্ক উস্কে দেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। তিনি বলেন, কেউ যদি মক্কা খোঁড়ে, সেখানেও মহাদেব প্রকট হবেন। অন্যদিকে টুইট করে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী লিখেছেন, এখন হিন্দু-মুসলিমদের মীমাংসা করে নেওয়ার পালা। কোন পথে মীমাংসা তাও বাতলে দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী। স্বামীর কথায়, সবথেকে ভালো জ্ঞানবাপী মসজিদটি অন্যত্র গড়ে তোলা এবং জ্ঞানবাপী বিশ্বনাথ মন্দিরটি তার নিজস্ব জায়গাতেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আমাদের কাছে আওরঙ্গজেবের নির্দেশিকা রয়েছে, তাতেই প্রমাণিত তাঁর নির্দেশেই মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে।