পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘উপত্যকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে চলেছে জঙ্গিরা। তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে।’ চারদিন আগেই বদগাঁও জেলায় জঙ্গিরা খুন করে কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটকে। তিনি একজন সরকারি কর্মী। অফিসের মধ্যে ঢুকেই জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে। ঘটনায় ফুঁসে ওঠে গোটা উপত্যকা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন রাজ্যের সংখ্যালঘুরা। তা দমন করতে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিস। সবমিলিয়ে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্নায়ুর চাপ বাড়িয়েছে মোদি সরকারের। এর মধ্যেই কাশ্মীরি পণ্ডিত ও উপত্যকার শরণার্থীদের নিশানা করে ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ ধরাল জঙ্গিরা। তাতে বলা হয়েছে, ‘দ্বিস্তরীয়, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা দিলেও কোনও লাভ হবে না। তোমরা মরবেই…’।
হিজবুল মুজাহিদিনের একটি শাখা সংগঠন এই লস্কর-ই-ইসলাম। এরা মূলত হিজবুলের সশস্ত্র বাহিনী। উপত্যকায় বড় কোনও নাশকতার ঘটানোর ইতিহাস সংগঠনটির নেই। তবে, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে অশান্তি পাকানোর কৌশল বদলেছে জঙ্গিরা। তাদের মূল টার্গেট এখন সংখ্যালঘু শরণার্থী কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক। সেই কারণেই উপত্যকায় ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে ছোটখাট সংগঠনগুলি। নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে লস্কর, হিজবুল, জামাত-ই-ইসলামির মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। রয়েছে পাকিস্তানের মদতও। এমনটাই গোয়েন্দাদের মত।
পুলওয়ামা যাওয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট হাওয়াল। এখানকার শরণার্থী কলোনিতে বাস করেন বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত। সেই কলোনির প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে লস্কর-ই-ইসলামের কমান্ডার। তাতে লেখা—‘কাশ্মীরের শরণার্থীরা মূলত আরএসএসের এজেন্ট। তাঁদের কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে হবে। নতুবা মৃত্যুর জন্য তৈরি থাকতে হবে।’ চিঠির পরের অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরও কোনও জায়গা নেই। তাঁরা কাশ্মীরকে ইজরায়েল বানানোর চেষ্টা করছেন। কাশ্মীরি মুসলিমদের হত্যা করছে।’