বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
খসড়া বিল অনুযায়ী, সরকারি কর্মীরা দুই সন্তান নীতি মানলে চাকরিজীবনে দু’টি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি), ১২ মাসের মাতৃত্বকালীন বা পিতৃত্বকালীন সবেতন ছুটি এবং জাতীয় পেনশন প্রকল্পে নিয়োগকর্তার অনুদানে তিন শতাংশ বৃদ্ধির মতো সুবিধা পাবেন। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় স্তরেও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যা নীতির এক্সপেরিমেন্টের ফল প্রত্যক্ষ করে আগামী দিনে গোটা দেশেই কি অনুরূপ আইন চালু করতে চাইছে মোদি সরকার? এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও একই ঘোষণা করেছেন। তবে সে রাজ্যে এখনও নির্দিষ্ট খসড়া আইন প্রস্তুত হয়নি। তবে আইন দপ্তর কাজ শুরু করেছে। সুতরাং দেশে সর্বপ্রধান ডাবল ইঞ্জিন দুই রাজ্যে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে দুই সন্তান নীতি। এহেন আইনের প্রধান কারিগর চীন। যদিও এখন আবার তারা তৃতীয় সন্তানের পক্ষে রায় দিয়েছে।
এহেন জনসংখ্যা নীতি নিয়ে প্রবল আলোড়ন শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, এভাবে কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই যে কঠোর আইন আনা হচ্ছে, তাতে সবথেকে বেশি সঙ্কটে পড়বেন খেটে খাওয়া নিম্নবর্গের গরিব মানুষ। কারণ, সমাজের একেবারে নিম্নতম আর্থিক স্তরে থাকা পরিবারগুলির অধিকাংশেই সচেতনতার অভাবের কারণে সন্তানের সংখ্যা দু’টির বেশি। তাই কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির দাবি, আগে সরকারি স্তরে এক বড়সড় কর্মসূচি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা দরকার। এভাবে নির্বিচারে আইন কার্যকর করলে উচ্চবিত্তদের মধ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু, দরিদ্রদের একটি বৃহত্তর অংশই সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। রাজ্য আইন কমিশনের অবশ্য বক্তব্য, ‘উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যার হার কার্যত জনবিস্ফোরণের আকার নিয়েছে। চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, খাদ্য—প্রতিটি ক্ষেত্রেই আগামী কয়েকবছর পর তীব্র সঙ্কট ও ভারসাম্যহীনতা দেখা যাবে। তাই এখন থেকেই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’