বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
গত ৭ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পদত্যাগ করেন তদানীন্তন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গোওয়ার। মন্ত্রিসভায় রদবদল করে ভূপেন্দ্র যাদবকে শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইপিএফও সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ, গত ৬ জুলাই দেশজুড়ে ১১৭ জন ইপিএফও আধিকারিকের বদলির নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসার্স ট্রান্সফার কমিটির (ইওটিসি) সুপারিশ মেনেই সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। ওই ১১৭ জন আধিকারিকের মধ্যে ১২ জন অতিরিক্ত সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার স্তরের আধিকারিক। বাকি ১০৫ জন আধিকারিক রিজিওনাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার,ওয়ান স্তরে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে কাউকে ইপিএফওর দিল্লির সদর কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে, কাউকে দেশের অন্যত্র বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে নির্দেশ কার্যকর করতেও বলা হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঠিক আগের দিন কী কারণে একসঙ্গে এতজন আধিকারিকের বদলির নিদের্শ জারি করল শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন ইপিএফও? ইপিএফ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনারকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বহু আধিকারিকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তাঁদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু আধিকারিক যে বিকল্প বেছেছিলেন, তার থেকে অনেক দূরে বদলি করা হয়েছে।’ চিঠিতে ওই সংগঠনটি উল্লেখ করেছে যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট ইপিএফও অছি পরিষদের এগজিকিউটিভ কমিটির ৮২ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার র্যাঙ্কের আধিকারিকদের বদলি সংক্রান্ত নীতি গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে তা মেনে চলার আর্জি জানিয়েছে সংগঠন। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বদলির নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের আবেদন জানানোর নিয়ম রয়েছে। ট্রান্সফার কমিটিকে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং সেইমতোই পদক্ষেপ করতে হবে। পাশাপাশি ইওটিসির মিনিটস আপলোড করতে হবে ওয়েবসাইটে। নিয়মে থাকা সত্ত্বেও তা করা হয়নি।’
শ্রমমন্ত্রক সূত্রের অবশ্য ব্যাখ্যা, বদলির নির্দেশিকা আইনবিরুদ্ধ নয়। বরং এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া। গত বছর করোনা পরিস্থিতির জেরে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি। বর্তমানে দেশে কি করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক? সরকারি নির্দেশিকার জেরে এই প্রশ্নও উঠছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলিও।