নয়াদিল্লি: দীপাবলির পরেই মহারাষ্ট্রের মন্দির ও প্রার্থনাস্থলের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে। রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে। তিনি বলেন, দীপাবলি কাটলেই মন্দির ও বিভিন্ন প্রার্থনাস্থল আমরা খুলে দেব। জুতো খুলে মন্দিরে প্রবেশ করবেন। কিন্তু, মাস্ক পরে থাকতে ভুলবেন না। দীপাবলি মিটলেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করবে রাজ্য সরকার। করোনা আবহে রাজ্য প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি। এদিন তাদেরও একহাত নিয়েছেন উদ্ধব। এদিকে, সার্বিকভাবে দেশের করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। এদিনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচেই রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রামিত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৭৪ জন। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ৮৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, শনিবার আরও ৫৫৯ জন প্রাণ হারানোয় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ২৬ হাজার ১২১। এরমধ্যেই স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। শতাংশের হিসেবে যা প্রায় ৯২.৪৯ শতাংশ। এই নিয়ে টানা ৩৭দিন দৈনিক আক্রান্তকে ছাপিয়ে গিয়েছে করোনা জয়ীর সংখ্যা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৯ হাজার ৮২ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুস্থ ও সক্রিয় রোগীর সংখ্যার ফারাক ৭৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩০৩ জন। প্রতিদিন যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে দিল্লি নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। করোনার তৃতীয় ধাক্কায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজধানীতে। বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। পরিসংখ্যান বলছে, শনিবার দিল্লিতে কোভিডের বলি হয়েছেন ৭৯ জন। বিগত চারমাসের মধ্যে যা সর্বাধিক। পাশাপাশি, আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় সাত হাজার ছুঁই ছুঁই। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও আশার কথা শুনিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেন, দিল্লিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, পরিস্থিতি কতটা শোচনীয় আকার ধারণ করেছে। তবে খুব শীঘ্রই সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই রাজ্যে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হিমাচলপ্রদেশ সরকার। কিন্তু, তার দিনকয়েকের মধ্যেই মান্ডি জেলার একটি স্কুলের ২৫ জন শিক্ষাকর্মী এবং ৬৭ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে।