উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
এবার শুরু থেকেই চিরাগের টার্গেট ছিল, নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের বাড়া ভাতে ছাই দেওয়া। এক্সিট পোলগুলির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‘ভোট কাটুয়া’ এলজেপির কারণেই নীতীশের আসন সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারাতে হতে পারে প্রবীণ এই জেডিইউ নেতাকে। তবে জেডিইউয়ের যাত্রাভঙ্গ হলেও এলজেপির ঝুলিতে নামমাত্র আসন আসবে। ২০০৫ সালেও একই অবস্থা হয়েছিল। এলজেপির ভোট কাটাকাটির কারণেই আরজেডির জোট ক্ষমতা হারিয়েছিল। বিহারে এনডিএ সরকার তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ টার্গেট আলাদা হলেও ১৫ বছর আগে একই ভূমিকা পালন করেছিল তারা। ২০০৫ সালে রামবিলাসের নেতৃত্বাধীন এলজেপি বিহারের ২৪৩টির মধ্যে ২০৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তার মধ্যে জয়ী হয়েছিল মাত্র ১০টি আসনে। কিন্তু লালু-রাবড়ি রাজ খতম করতে পেরে হাসি চওড়া হয়েছিল রামবিলাসের। সেই সময় তাঁর বক্তব্য ছিল, লালু-রাজ খতম করার লক্ষ্যে আমরা নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পেরেছি। ঘটনাচক্রে, লালু-রাবড়ি রাজ অবসানের লক্ষ্যে এলজেপির সেবারের ভূমিকায় বহু আসনে সরাসরি লাভবান হয়েছিল এনডিএ। বহু আসনে এলজেপি যে পরিমাণে ভোট পেয়েছিল, লালু শিবিরের থেকে এনডিএ প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান ছিল তার থেকে কম। এলজেপি ভোট কাটার ফলে অন্তত ৫৭টি আসন হাতছাড়া হয়েছিল আরজেডির। তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে হারাতে হয়েছিল ১৩টি আসন। এনসিপির হাতছাড়া হয়েছিল দু’টি আসন। এক্সিট পোলগুলির পূর্বাভাস মিললে, এবারও একই ছবি ধরা পড়বে ভোটগণনার দিন। এলজেপির ঝুলিতে হাতে গোনা আসন এলেও তাদের জন্য এনডিএ শিবির ব্যাপক ধাক্কা খেতে চলেছে। এর সরাসরি সুবিধা পেতে চলেছে বিরোধী মহাজোট শিবির। রামবিলাস-পুত্রের কৌশল সত্যিই সফল হলে নীতীশকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। তবে সব জল্পনার উত্তর মিলবে আগামী মঙ্গলবার ফল ঘোষণার দিন।