প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
ভারতে আটকে থাকা মালয়েশিয়ার নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য রিলিফ ফ্লাইট চালাচ্ছে মালিন্দো এয়ার। আজ এরকমই একটি বিমানে চেপে এই আটজন ভারত ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন সরকারের বিনা অনুমতিতে। তাই পুলিশ তাঁদের আটক করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। সরকারি স্তরে বারবার আবেদন করা হয়েছিল, দেশি ও বিদেশি যাঁরাই নিজামুদ্দিনে আয়োজিত ওই ধর্মীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরা যেন স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে চিহ্নিতকরণ ও পরীক্ষায় সাহায্য করেন। কারণ, ওই সমাবেশে যোগ দেওয়া এবং তাদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে এই আটজন তা উপেক্ষা করে গোপনেই বাস করছিলেন এবং রবিবার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে বিমানে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ভারতে বন্ধ থাকলেও, এখনও দুই ধরনের বিমান চলাচল করছে। প্রথমত কার্গো বিমান অর্থাৎ অত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর দ্বিতীয়ত কিছু দেশ ভারতে আটকে পড়া তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করছে। সেইমতোই মালয়েশিয়ার একটি সরকারি সংস্থার বিমান রবিবার সকালেই কুয়ালালামপুরে যাওয়ার কথা ছিল। মালয়েশিয়ার দূতাবাস এই গোটা বিষয়টি সমন্বয় করছে, যাতে তাদের দেশের নাগরিকরা ভারতে আটকে না থাকে। কিন্তু তাদেরও না জানিয়ে এই আট তবলিগ সদস্য ভোরবেলা সোজা বিমানবন্দরে হাজির হন। তাঁরা আগে থেকেই জানতেন, আজ সকালে একটি বিমান ছাড়বে। তবে তাঁরা কোন গাড়িতে চেপে বিমানবন্দরে এসেছেন, সেটা জানা যায়নি। অভিবাসন কাউন্টারে নাম তালিকাভুক্ত করতে যাওয়ার আগেই আচমকা তাদের সামনে এসে দাঁড়ান দিল্লি পুলিশের তিন অফিসার। জেরা করে জানতে পারেন, এই আটজনই ৮ মার্চের আগেই দিল্লি এসে ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিল। তৎক্ষণাৎ আটক করে তাদের বিমানবন্দরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তাদের নাম, পরিচয়, মোবাইল নম্বর এবং মালয়েশিয়ার ঠিকানা ইমিগ্রেশন কাউন্টারে দিয়ে জানানো হয়েছে কেয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে আবার যদি এরা কখনও পরবর্তী সময়ের কোনও মালয়েশিয়াগামী উদ্ধার বিমানে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে যেন আটকে দেওয়া হয়।