নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে দুঃস্থ মানুষদের খাওয়ার ব্যবস্থা করছে রেল। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের পরিকল্পনামাফিক দেশজুড়ে এই কর্মকাণ্ড চলছে জোরকদমে। রবিবার দুপুরে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে তাদের সদরদপ্তর অর্থাৎ ফেয়ারলি প্লেস এবং নিউ কয়লাঘাটা চত্বরে দুঃস্থ মানুষদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই উদ্যোগের প্রত্যক্ষ ভূমিকায় ছিলেন পূর্ব রেলের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার এস এস গেহলট। আরপিএফ-এর অ্যাডিশনাল সিকিউরিটি কমিশনারের তত্ত্বাবধানে এদিন ১০০ জনকে খাবার দেওয়া হয়।
পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, যতদিন এই পরিস্থিতি চলবে ততদিন ধরেই গরিব মানুষজনের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী দিনে ফেয়ারলি প্লেস, নিউ কয়লাঘাটা চত্বরে দুপুরের পাশাপাশি রাতের খাবার দেওয়া হতে পারে। খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
অন্যদিকে, লকডাউনের জেরে যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান ব্যাহত না হয়, তার জন্য মালগাড়ি এবং পার্সেল ট্রেন চালাচ্ছে উত্তর-মধ্য রেল। একই সঙ্গে মন্ত্রকের নির্দেশমতো রেলের নির্দিষ্ট সংখ্যক কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করার কাজও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করছে তারা। একেবারে মাঠে নেমে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য অফিসে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন নির্দিষ্ট কর্মীরা। কাজের ক্ষেত্রে করোনা নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত গাইডলাইন জারি করা হয়েছে, সেসব গুরুত্ব দিয়ে মানা হচ্ছে।
একই সঙ্গে কর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। স্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গায় যেসব কর্মী কাজ করছেন, তাঁদের দেখভাল করছেন সুপারভাইজাররা। সুপারভাইজাররাই কর্মীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছেন। যেহেতু লকডাউনের মধ্যেই আর্থিক বছর শেষ হয়েছে, তাই বর্তমানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মের জন্য ফিনান্স এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগে জোরকদমে কাজকর্ম চলছে। কিছু কর্মী যেমন অফিসে এসে কাজ করছেন, তেমন আবার অনলাইনেও কাজ চলছে।