প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
শনিবার থেকেই উত্তপ্ত ছিল উপত্যকা। কুলগাঁও জেলার বাটাপোড়া এলাকায় চার জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল সেনা। তারপর থেকে সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়াকে হাতিয়ার করে রবিবার ভোররাতে কুপওয়ারা জেলার কেরান সেক্টর দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। জওয়ানরা রুখে দাঁড়াতেই শুরু হয় দু’পক্ষের গুলি বিনিমিয়। পিছু হটতে শুরু করে জঙ্গিরা। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি পর্যন্ত তাদের ধাওয়া করেন জওয়ানরা। সেনার মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া বলেন, ‘উত্তর কাশ্মীরের কেরান সেক্টরে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জঙ্গিদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন জওয়ানরা। তাঁদের গুলিতে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন শহিদ হন এক জওয়ান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন দু’জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন চার জওয়ান। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ সেনা সূত্রের খবর, ওই এলাকায় ব্যাপক তুষারপাতের কারণে নিহত ও আহত সেনাদের উদ্ধারে দেরি হয়। ওই এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। শনিবার কুলগাঁওয়ে নিহত চার জঙ্গি সাধারণ মানুষদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে সেনা। পরপর দু’দিন এই ধরনের ঘটনার পর উপত্যকায় জঙ্গিদমন অভিযান আরও জোরদার করেছে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। এদিন রাত পর্যন্ত নিহত জঙ্গিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে সাম্বা জেলায় ক্যাম্পের মধ্যে আত্মহত্যা করলেন এক সেনা। সার্ভিস রাইফেল থেকে নিজেকে গুলি করেন ওই জওয়ান। জম্মুর বাসিন্দা ওই জওয়ানের নাম মাখনলাল (৪০)। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তিনি কেন আত্মহত্যা করলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিন তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।