নয়াদিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিমান দিল্লির পালাম বিমানবন্দর ছাড়তেই দিল্লির হাঙ্গামা নিয়ে অবশেষে নড়ে চড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। দিল্লির বিরাট অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক হিংসা। শুরু হয়ে গিয়েছে মৃত্যুমিছিল। ভয় আর আতঙ্ক চেপে বসেছে মানুষের মনে। মঙ্গলবার রাতেই বেশ কিছু অগ্নিগর্ভ এলাকা পরিদর্শনও করেন তিনি। গত তিনদিনের হিংসায় উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ, মৌজপুর, ববারপুর, যমুনা বিহার, ভজনপুরা, শিববিহার, চাঁদবাগ এলাকায় হিংসার ঘটনায় ২৪ জন মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা দু’শোর বেশি। হাসপাতালে আর জায়গা নেই। মঙ্গলবারই অজিত দোভালকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্দেশ পেয়ে গভীর রাতেই তিনি দিল্লির পুলিস কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক এবং নবনিযুক্ত বিশেষ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব ও অন্যান্য পদস্থ কর্তাদের নিয়ে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান। বুধবার সকালেই দোভাল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির কাছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেন। উল্লেখ্য, এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিকেলে দিল্লির পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দোভাল জানান, দিল্লির সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মানুষও সন্তুষ্ট। তবে তিনি যাই বলুন এখনও মানুষ ভয়াবহ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় অজিত দোভাল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হিংসা কবলিত বিভিন্ন এলাকা আবারও ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। কার্যত তাঁর বক্তব্যকে খণ্ডন করেই জাফরাবাদে এক বালিকা অভিযোগ করে, ‘আমি ছাত্রী। আমরা রাতে আতঙ্কে ঘুমতে পারছি না। আমি পড়তে পারছি না।’ দোভাল তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, চিন্তা কোরো না। এটা পুলিস ও সরকারের দায়িত্ব। ওই ছাত্রী পাল্টা বলেন, ‘পুলিস কোনও কাজ করছে না।’ দোভাল তখন বলেন, আমি তো তোমাকে আশ্বাস দিয়েছে। তাঁর এক কথা, অশান্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বুধবার বিকেলে পুলিসের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের শেষে এমনই মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পুলিসও তার কাজ করছে। তাদের উপর আমার আস্থাও আছে।