বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের উন্নতির সঙ্গে সম্পর্কিত নানা বিষয়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ হ্রাস সহ বকেয়া রেল, সেচ সহ নানা প্রকল্পের দ্রুত রূপায়ণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরব হবেন বাংলার প্রতিনিধিরা। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ইজেডসি’র বৈঠকে রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচিত হয়। সেক্ষেত্রে দিল্লির বিঘ্নিত নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে কোনও প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন কি না, এখন সেটাই দেখার। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪তম ইজেডসি’র বৈঠকের আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে বিহারের পাটনায় সংশ্লিষ্ট সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডিং কমিটির একাদশতম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ইজেডসি’র বিগত বৈঠকের আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা এবং আগামী বৈঠকের প্রস্তুতির রূপরেখা রচিত হয়।
সূত্রের খবর, স্ট্যান্ডিং কমিটির ওই বৈঠকে বাংলার প্রতিনিধি সেচদপ্তরের প্রধান সচিব নবীন প্রকাশ রাজ্যের বকেয়া বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সরব হয়েছিলেন। প্রস্তাবিত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর এবং ভাদুতলা-ঝাড়গ্রাম রেলপথ, বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ির মহানন্দা বাঁধের জলবণ্টন নিয়ে বিহারের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ সেই বৈঠকে উত্থাপিত হয়েছিল। এবার ইজেডসি’র পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে ফের এই বিষয়গুলি সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, দীর্ঘ টালবাহানার পরে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু বকেয়া রেল ও সেচপ্রকল্প নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা রাজ্যের উন্নয়নের পক্ষে সহায়ক হচ্ছে না। ভুবনেশ্বরের বৈঠকে এই প্রসঙ্গগুলির সঙ্গেই সীমান্ত চৌকির জন্য প্রয়োজনীয় জমির সংস্থানের বিষয়টিও আলোচিত হবে। বিএসএফ-এর অভিযোগ, রাজ্যের তরফে সময়মতো জমি না মেলাতই গড়া যাচ্ছে না সীমান্ত চৌকি। নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, জমির সংস্থান সময়মতোই যে করে দেওয়া হয়েছে, সে সংক্রান্ত কাগজপত্র ওই বৈঠকেই তুলে ধরা হবে।
এবার কোন কোন প্রসঙ্গ উত্থাপিত হবে ভুবনেশ্বরের বৈঠকে? ইজেডসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র চাইছে, গোটা দেশে বিদ্যুতের সম মাশুল চালু করতে। কিন্তু কয়লা পরিবহণে বিভিন্ন রাজ্যে খরচের রকমভেদের নিরিখে তা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে বৈঠকে। একইভাবে কেন্দ্র চাইছে, বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ‘ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’ (ডিবিটি) চালু করতে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অভাবে, তা কী ভাবে চালু হবে, প্রশ্ন রয়েছে রাজ্যগুলির তরফে। ইজেডসি’র ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এছাড়াও ডিজাস্টার রেজিস্ট্যান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার গঠন, অপারেশন অব মাইনস এবং রেল লিঙ্ক প্রজেক্ট নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।