বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
গত ডিসেম্বরে সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাশ হওয়ার পর থেকে উত্তাল দেশ। ত্রিপুরা, অসম থেকে শুরু করে বিজেপি গড় উত্তরপ্রদেশে হিংসাত্মক আন্দোলনে একাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারান। যদিও মোদি সরকার বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব। বিজেপির জোট শরিক জেডিইউ অবশ্য প্রথম থেকেই সরব। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রথমেই ঘোষণা করেছেন, তাঁর রাজ্যে এনআরসি বা সিএএ কার্যকর হবে না। একই বক্তব্য প্রশান্ত কিশোরের। শুধু বিরোধিতা নয়, এই ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন তিনি। গত রবিবার ট্যুইট করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘সিএএ এবং এনআরসিকে যেভাবে দ্ব্যর্থহীনভাবে বাতিল করেছেন প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুল গান্ধী, তার জন্য তাঁদের বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। একইসঙ্গে সকলকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, বিহারে সিএএ-এনআরসি কার্যকর হবে না।’ শরিক দল জেডিইউয়ের নেতার এইভাবে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার স্তুতি ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি। নাম না করে প্রশান্ত কিশোরের সমালোচনায় বিজেপির বক্তব্য, ‘সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশের সময় জেডিইউ সমর্থন করেছিল। এখন এক অতিবুদ্ধিমান ব্যক্তি বিরোধিতায় প্রচারে নেমেছে। কিন্তু আইনে পরিণত হওয়ার পর সিএএ প্রতিটি রাজ্য লাগু হবেই।’ বিহার বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ বলেছেন, ‘ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিল পাশের জন্য প্রত্যেক শরিক দলকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিহার সহ প্রত্যেক রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে। বিহার সরকার ইতিমধ্যেই চলতি বছরের মে মাসে এনপিআর কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।’