কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
নাহারলাগুন রেল স্টেশনমুখী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারী জনতা। যার জেরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়ে রোগী, নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষকে। বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে এদিন রাজধানীর সমস্ত দোকান, বাজার, পেট্রল পাম্প বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছে অরুণাচল প্রদেশে। শুক্রবারের থেকে এ পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। যার মধ্যে বেশ কিছু পুলিসের গাড়ি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা ও ছয় কোম্পানি ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিস।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে এদিন দুই উপজাতি সম্প্রদায়কে স্থায়ী বসবাসের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে ইটানগর। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের বাসিন্দা নয়, নামসাই ও চ্যাংলাং জেলার এমন সম্প্রদায়কে অরুণাচলে পাকাপাকি বসবাসের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার এ বিষয়ে নেওয়া পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি মেনে অরুণাচলের আদি বাসিন্দা নন এমন ছয় সম্প্রদায়কে রাজ্যে স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র দেয় যৌথ উচ্চ পর্যায়ের কমিটি (জেএইচপিসি)। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চীন সীমান্তে অবস্থিত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। শুক্রবার পুলিসের গুলিতে জখম হন এক আন্দোলনকারী। তারপর থেকেই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের ঘায়ে শনিবার জখম হয়েছেন ৩৫ জন। যাঁদের মধ্যে ২৪ জন পুলিস আধিকারিক। তারপর থেকেই ইটানগর ও নাহরলাগুনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রুট মার্চ করে সেনাবাহিনী। ওই দুই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার স্থায়ী বসবাস সম্পর্কিত জেএইচপিসির সুপারিশটি রাজ্য বিধানসভায় পেশ হওয়ার কথা থাকলেও বিক্ষোভের জেরে স্পিকার অনির্দিষ্টকালের জন্য অধিবেশন স্থগিত করে দেন। ফলে তা পেশ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। অরুণাচলবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।