গুয়াহাটি, ২৪ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): অসমের চা বাগানে বিষমদে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৪। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩১ জন। রবিবার প্রশাসনিক সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেবলমাত্র জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই কমপক্ষে ৭১ জন মারা গিয়েছেন। এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭২ জন। জোরহাটের তীতাবর সাব-ডিভিশন হাসপাতালে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, গোলাঘাটে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৪৯ জন। আর গোলাঘাট সিভিল হাসপাতালে ৫৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্তাটি জানিয়েছেন, বিষমদ খেয়ে বাড়িতেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই হিসেব সরকারের হাতে আসেনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে জোরহাট ও গোলাঘাট চা বাগানের শ্রমিকরা একটি অনুষ্ঠানে প্রচুর মদ্যপান করেন। তা থেকে বিষক্রিয়ার জেরেই এই মৃত্যু মিছিল। বৃহস্পতিবার রাতেই ১২ জনের মৃত্যু হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা শনিবার জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মৃতের নিকটাত্মীয়কে দু’লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। শুক্রবারই তিনি এই বিষমদ কাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ অসম ডিভিশনের কমিশনার জুলি সোনেওয়ালকে। তাঁকে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। অসম পুলিসের ডিজি কুলাধর সইকিয়া জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোলাঘাটে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিব্রুগড়ের অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শোনিতপুরের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের জোরহাট এবং গোলাঘাটে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মেডিক্যাল এড্যুকেশনের অধিকর্তা অনুপ বর্মন, অসমের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য ঩মিশনের অধিকর্তাকে জোরহাট এবং গোলাঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষমদে অসুস্থদের সঙ্গে থাকা আত্মীয় পরিজনদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্যও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মাসের গোড়াতেই উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিষমদের বলি হয়েছেন ৭০ জন। ১৫ দিনের মধ্যে অসমের ঘটনা তাকেও ছাপিয়ে গেল।