সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে না হটালে সুদিন ফিরবে না—এই ধারণা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে কন্যাকুমারিকা থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত আম জনতার মধ্যে। সর্বস্তরে ওঠা এই আওয়াজকে সরাসরি রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে তুলে আনছে তৃণমূল। জনসংযোগ যাত্রা যত এগিয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর ততই তীব্র থেকে তীব্রতর করেছেন অভিষেক। সেই সুর আরও চড়েছে নবজোয়ার যাত্রা পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবেশ করার পর। বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নবজোয়ারের পদযাত্রার ভিড় সবার নজর কেড়েছে। শুক্রবারও পদযাত্রায় জনসমাগমের চেনা ছবির কোনও বদল ঘটেনি। নন্দকুমার, মহিষাদল, ময়না—প্রতিটি জায়গায় অভিষেকের রোড শোয় উপচে পড়ে সব বয়সের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভিড়। মানুষের এই বিপুল সাড়া দেখে তৃণমূল শিবির উজ্জীবিত। অভিষেকের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূচির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে পদযাত্রা শেষে তিনি অভিষেকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে যে কারচুপি হয়েছে, তা এই জনসমাগম থেকেই স্পষ্ট বলে নেত্রীকে জানিয়েছেন অভিষেক।
চলতি জনসংযোগ যাত্রার সাফল্যে ভর করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। তবে তাদের ‘পাখির চোখ’ লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে অভিষেকের দাবি, ‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের মেয়াদ আর এক বছর। জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে মানুষের কথাবার্তা থেকে এটা বুঝেছি যে তাঁরা আর বিজেপিকে চাইছেন না। সেই জন্যই কর্নাটকে বিজেপিকে হারতে হয়েছে। চব্বিশের লোকসভায় বিজেপির ভরাডুবিও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।’