সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
এদিকে, স্কুলে হিজাব-বিতর্ককে মোটেই হালকাভাবে নিতে নারাজ মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। ঘটনায় দামো জেলার পুলিস সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, কোনও স্কুল জোর করে ছাত্রছাত্রীদের কোনও পোশাক পরতে বাধ্য করতে পারে না, যা তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কারের বিরোধী। দামো জেলার একটি স্কুলের বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। সেখানে কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। তদন্তে যা উঠে আসবে, সেইমতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দামোর জেলাশাসক বলেছেন, ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটসের তরফে ৩০ মে অভিযোগ পেয়েছি। এরপরই জেলার এক শিক্ষা আধিকারিককে ছাত্রীদের বাড়িতে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ছাত্রীর পরিবার এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ জানায়নি।’ যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের জোর করে হিজাব পরানোর অভিযোগ, সেই গঙ্গা যমুনা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের এক ছাত্রীর বক্তব্য, ‘আমাদের স্কুল ইউনিফর্মে সালোয়ার, কুর্তার সঙ্গেই ওড়না রয়েছে। তবে যদি আমরা কোনওদিন ওড়না পরে যেতে ভুলে যাই, আমাদের কোনও শাস্তি দেওয়া হয় না। ফলে এনিয়ে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই।’ স্কুলের ডিরেক্টর মোস্তাক মহম্মদের দাবি, কোনও ছাত্রছাত্রীর ঐতিহ্য, সংস্কারের বাইরে আমরা কোনওদিনই কিছু পরতে জোর করি না। ফলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আর পোস্টারে যাকে হিজাব বলা হচ্ছে, তা আসলে ওড়না।