নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: একটি আমের দাম ১০ হাজার ৬০০ টাকা! অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? এ বছর আম যেখানে প্রায় জলের দরে বিকোচ্ছে সেখানে একটি আমের এত দাম কেন, ভেবে অবাক হওয়ারই কথা। আসলে এই আমটি এক বিশেষ প্রজাতির, যা চট করে বাজারে মেলে না। দুবরাজপুরের বনকাটি পাড়ার মসজিদের একটি গাছের ওই আম বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে। টুকটুকে লাল রঙের ওই আমের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ওই আম নিয়ে নানা আলোচনা চলছে, বিশেষজ্ঞের মতামত দিচ্ছেন অনেকেই। এখনও গাছটিতে ৮ থেকে ১০টি আম রয়েছে। লাল টুকটুকে অদ্ভুত সেই আম আসলে ‘মিয়াজাকি’ প্রজাতির বলে জোর গলায় বেশ কয়েকজন দাবি করছেন। ওই প্রজাতির আম আড়াই লক্ষ টাকা কেজি। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ছবিতে রং ও আয়তন দেখে আমটি ‘মিয়াজাকি’ প্রজাতিরই বলে মনে হচ্ছে।
মসজিদ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, একটি আম পেড়ে নিলামে তোলা হবে। শুক্রবার সেই নিলামেই আমটির দাম উঠল ১০ হাজার ৬০০ টাকা। স্থানীয় যুবক মির্জা ইজাজ বেগ ওরফে পপিন আমটি কিনে নেন। তিনি বলেন, এই আমের ছবি দেখে এটি কোন প্রজাতির সেবিষয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ করতে শুরু করি। মনস্থির করেই এসেছিলাম, যে দামই উঠুক আমটি আমিই কিনব। সেইমতো ১০ হাজারের সামান্য বেশি দামে আমটি কিনেছি।
এদিকে মসজিদের সভাপতি কাজি আবু তালেব বলেন, আমের যে দাম মিলেছে, মসজিদের উন্নতিকার্যেই সেই অর্থ ব্যয় করা হবে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সৈয়দ নিজামুদ্দিন ওরফে সোনাকে, যিনি এই গাছটি বাইরে থেকে এনে লাগিয়েছিলেন। এখন চেষ্টা করব গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখার।
১০ হাজার ৬০০ টাকায় কেনা আম হাতে মির্জা ইজাজ বেগ। শুক্রবার দুবরাজপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।