সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিমানবন্দর তৈরি নিয়ে মে মাসের শেষ দিকে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তারপর গাজোলে সংশ্লিষ্ট খাস জমিতে সমীক্ষা চালিয়ে প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের নকশা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যস্তরের আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে সেই কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জমি সংক্রান্ত সামগ্রিক রিপোর্ট আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মালদহ শহর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে পাশাপাশি দু’টি বিমানবন্দর থাকা সত্ত্বেও কেন গাজোলে আরও একটি এয়ারপোর্ট তৈরি করতে চাইছে সরকার? কারণ, মালদহ এবং বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিসর বেশ ছোট। এই দু’টি জায়গায় খুব বেশি হলে ২০ আসনের বিমান ওঠানামা করতে পারে। তাছাড়া, দু’টি বিমানবন্দরই ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সম্প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত জমি পাওয়া কার্যত অসম্ভব। সেই কারণে এই উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, এই এলাকায় বৃহৎ বিমানবন্দর গড়ে উঠলে তা বাণিজ্যিকভাবে কতটা সফল হবে, তা বুঝতেও একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। মালদহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগস্থল। এই অঞ্চলে শিল্পে বিনিয়োগের হারও বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী। প্রস্তাবিত বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল বলেই ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এটি নির্মাণের জন্য এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরে ফেলেছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজোলে বিমানবন্দর তৈরি হলে কলকাতা, বাগডোগরা, অণ্ডালের পর রাজ্য পাবে আরও একটি পূর্ণাঙ্গ এয়ারপোর্ট। এছাড়া, পুরুলিয়ার ছররা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যকে শিল্পে এক নম্বর করার জন্য উন্নত বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ বলে বারবার উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাজোল বিমানবন্দরের পরিষেবা শুরু হলে সেই চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।