সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১১ জনের। এরপর বিভিন্ন জেলায় বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে লাগাতার তল্লাশি অভিযানের নির্দেশ দেয় নবান্ন। প্রতিদিন এক একটি জেলায় ধরা পড়তে থাকে ৮০ থেকে ১০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বা বিস্ফোরক। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত বাজির মোট পরিমাণ ৮০ হাজার কেজিতে পৌঁছেছে। সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই নিষিদ্ধ বাজি রাখা হয়েছে থানা এলাকার ফাঁকা জায়গা বা মালখানায়। বাজেয়াপ্ত এই বাজি থেকে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটুক চাইছেন না জেলা পুলিসের কর্তারা। কয়েকবছর আগে বাঁকুড়ার একটি থানায় বাজেয়াপ্ত করা বাজি ফেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তাঁদের ভাবাচ্ছে। ২০২০ সালে বারাকপুর কমিশনারেটের তরফে বাজেয়াপ্ত করা বাজি গঙ্গার ধারে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয়করণ শুরু হয়। তখনই ঘটে যায় আচমকা বিস্ফোরণ। তাতে মৃত্যু হয় চারজনের। নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দিয়ে প্রশাসন জানায়, বিশেষজ্ঞ সংস্থা দিয়ে এই কাজ করাতে হবে।
রাজ্য পুলিস সূত্রের খবর, এর একটি এসওপি রয়েছে। সেই অনুযায়ী ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অথিরিটিজকে দিয়ে এই কাজ করাতে হবে। কিন্তু এর জন্য তাদের চার্জ বা খরচ দিতে হয়। সূত্রের খবর, হাজার কেজি বাজি নিষ্ক্রিয় করতে তারা নেয় ২২ হাজার টাকা। কিন্তু এমন মোটা অঙ্কের সংস্থান কোনও জেলার নেই।
বারাসত পুলিস জেলার তরফে প্রথমে টাকা চেয়ে বলা হয়, ওই সংস্থাকে দিয়ে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে তাদের দরকার ১১ লক্ষাধিক টাকা। এরপরই দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিও ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে চাইছে বলে খবর। কয়েকটি জেলায় বাজেয়াপ্ত বাজির সংখ্যা বেশি হওয়ায় টাকার অঙ্ক বেশিই পাঠানো হয়েছে। টাকা না পেলে এই জরুরি কাজ ঝুলেই থাকবে। নিরাপত্তার কারণে বাজি নিষ্ক্রিয় করার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে কর্তাদের কাছে। তাই অর্থদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তাঁরা। অনুমোদন পেলেই জেলাগুলিকে এই খাতে টাকা দেওয়া হবে বলে পুলিস সূত্রের খবর।