পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
কিন্তু সাগ্নিকের এই ‘সাফাই’ মানতে নারাজ পল্লবীর পরিবার। সোমবার গরফা থানায় এসে অভিনেত্রীর বাবা ও মা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে পল্লবীকে। আর তা থেকেই জানা গিয়েছে, পল্লবী ও সাগ্নিকের সম্পর্কে তৃতীয় মহিলার উপস্থিতি। কারণ, সাগ্নিকের পাশাপাশি জনৈক ঐন্দ্রিলা সরকারের নামেও অভিযোগ জমা পড়েছে।
কে এই ঐন্দ্রিলা? সম্পর্কে তিনি পল্লবীর বন্ধু। চার বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক। সেই সূত্রেই পরিচয় সাগ্নিকের সঙ্গে। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার অভিযোগ, পল্লবীর অজান্তেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি বৃদ্ধি পায় সেই ঘনিষ্ঠতা। পল্লবীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাঁকে গরফার ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন সাগ্নিক। তা জানার পরই পল্লবী-সাগ্নিকের সম্পর্কে ফাটল ধরে। পরিবারের সন্দেহ, সাগ্নিক ও ঐন্দ্রিলা মিলিতভাবে খুন করেছেন পল্লবীকে। তাই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধেই।
যদিও বিষয়টি জানতে পেরে আকাশ থেকে পড়েছেন ঐন্দ্রিলা। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কাকু-কাকিমা কেন আমার নাম জড়ালেন, সেটা ভীষণ আশ্চর্যের। পল্লবী আমার ভালো বন্ধু। সেই সূত্রেই সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্ক। পল্লবী বলেছিল, সাগ্নিককে বিয়ে করব, সংসার করব। যেদিন ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল, সেদিনও জানিয়েছিল। আমি ওদের ফ্ল্যাটে একবারই গিয়েছিলাম। ৩ মে। আমার সঙ্গে আরও দুই বন্ধু ছিল। আর সাগ্নিক, পল্লবী দু’জনেই সেদিন বাড়িতে।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘কোথাও একটু ভুল হচ্ছে। আমার পদবি মুখোপাধ্যায়। সরকার নয়।’
কিন্তু তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়িয়েছে রবিবার সকালে সাগ্নিকের মোবাইলে আসা একটি ফোন। সেটি এসেছিল ঐন্দ্রিলার নম্বর থেকে। ঐন্দ্রিলার দাবি, পল্লবীর দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই তিনি ফোন করেছিলেন সাগ্নিককে। কিন্তু বিষয়টিকে এত হাল্কাভাবে নিতে নারাজ পুলিস। কারণ, পল্লবীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তিনিও।