পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে এই জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ থেকে ২০১৯-র মধ্যে। কাগুজে কোম্পানি খুলে দশ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ২০১৯ সালে বিষয়টি নজরে আসার পরই সেদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন এই জালিয়াতির তদন্ত শুরু করে। ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর প্রশান্ত কুমার হালদার সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সেই নির্দেশিকা বাংলাদেশের সমস্ত বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দরের অভিবাসন দপ্তরে পৌঁছয় ২৩ অক্টোবর বিকেল চারটে ৩৭ মিনিটে। ইডি জানিয়েছে, তার আগে তিনটে ৩৮ মিনিট নাগাদ দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত পার করে ভারতে পৌঁছে যান পিকে।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সীমান্তে পেরোনোর আগে ফোনে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয় সুকুমার মৃধার। সীমান্ত পার করে চলে আসেন অশোকনগরে। সুকুমার মৃধার বাড়িতে কয়েকদিন কাটান। এরপর উত্তর ২৪ পরগনায় থাকা নিজের বাড়িতে (সুকুমারকে দিয়ে জালিয়াতির টাকায় কেনা) গিয়ে ওঠেন। ধরা পড়ার সময়ও সেখানে ছিলেন জালিয়াত চক্রের মূল মাথা। উত্তর ২৪ পরগনার যে সমস্ত জায়গায় তাঁর সম্পত্তি রয়েছে সেগুলির নথি ইডির হাতে এসেছে। তা ঘেঁটে তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সম্পত্তিগুলি কেনার জন্য পেমেন্টের একটা বড় অংশ নগদে করা হয়েছে। শিবশঙ্কর হালদারের নামে সম্পত্তিগুলি কেনা। এই সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আদালতে এই সংক্রান্ত আবেদন জানানো হচ্ছে বলে খবর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অশোকনগরে মাছ ব্যবসায়ী সেজে থাকা সুকুমার মৃধা ও তাঁর মেয়ে অনিন্দিতা বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিন পেয়ে তাঁরা বেল জাম্প করেন। সীমান্ত পেরিয়ে অশোকনগরে এসে ওঠেন। এদিকে ২০১৬ সালের বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির ভিত্তিতে প্রশান্ত ও তাঁর সহযোগীদের ফেরত চাইছে ঢাকা। জালিয়াত চক্রের কিং পিনকে গ্রেপ্তারের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান সোমবার জানিয়েছেন, ভারত সরকার গ্রেপ্তারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানালেই, তাঁদের ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।।