পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
পুরুলিয়ার পুলিস সুপার এস সেলভা মুরগান বলেন, রেল ইয়ার্ডে চারজন কাজ করছিলেন। তারমধ্যে দুই দুষ্কৃতী এসে দু’জনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা একটি চিঠিও দেয়। জখমদের একজনের পিঠে ও একজনের পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থীতিশীল রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ মনোজের বাড়ি বোকারোতে। আর তারকের বাড়ি অণ্ডালে। তাঁরা একটি ঠিকাদারি সংস্থার অধীনে সোমবার আদ্রার কমলাস্থান এলাকায় রেল ইয়ার্ডে রেলের বগি কাটার কাজ করছিলেন। জখম তারক বলেন, এদিন খেয়ে দেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ দু’জন ছেলে আসে। ওদের মুখে মাস্ক ছিল। মালিকের খোঁজ করছিল। মালিক কাজের এখানে আসেন কি না জানতে চাইছিল। মালিকের ফোন লাগছে না বলে ওরা জানায়। আমরা জানাই, উনি অসুস্থতার জন্য আসেননি। তারপরই ওরা একটি চিঠি আমার পাশে থাকা একজনকে দেয়। ফোন বের করতেই তা কেড়ে নেয়। তারপরই গুলি করা শুরু করে। আমি রেলের বগির নীচ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করি। সেই সময় পিঠে গুলি লাগে। আগে কোনওদিন এরকম হয়নি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাম কুমার বলেন, ওরা দু’জন আমাকেই চিঠিটা দেয়। গুলি করতে করতে পকেটে থাকা টাকা, মোবাইল সব দিয়ে দিতে বলে। আমরা চারজন ছিলাম। কোনওক্রমে বেঁচে গিয়েছি। ডালমিয়া গ্রুপ রেলের বগি কাটিংয়ের কাজের বরাত পায়। তার পেটি ঠিকাদার হিসেবে ওই কাজ শুরু করেন আদ্রারই বাসিন্দা রামাশঙ্কর সিং। এদিন ওই দুষ্কৃতীরা রামাশঙ্কর সিং ও তাঁর ছেলের খোঁজ করছিল। তারা একটি হুমকি চিঠিও দেয়। খাতার ছেঁড়া পাতায় ইংরেজি হরফে ওই চিঠি লেখা হয়। তাতে সুনীল ডালমিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠির প্রেরককে জিজ্ঞাসা না করে কোনও সামগ্রী তুলতে নিষেধ করা হয়েছে।
রামাশঙ্করবাবু বলেন, দুষ্কৃতীরা আমার ও ছেলের খোঁজ করছিল বলে জেনেছি। চিঠিতে ওদের পেমেন্ট ক্লিয়ার করার কথা বলা হয়েছে। ওসব মূল মালিকদের বিষয়। আমি ওই বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে আগেও এনিয়ে ফোন করেছিল। আতঙ্কে আছি।