বিদ্যার্থীরা মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কলকাতার নানা জায়গায় এদিন কর্মসূচি করে তৃণমূল। এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে বেহালার ম্যান্টনে প্রতিবাদ জানান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এরাজ্যে নির্বাচনে ভরাডুবির পরও জনবিরোধী নীতির কোনও পরিবর্তন করেনি বিজেপি। এবার মানুষের প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছে যাবে দিল্লির দরবারে। উত্তর কলকাতার মুচিবাজারে ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম চেতলায় গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হন। তিনি বলেন, ‘মেক-ইন ইন্ডিয়া নয়, সেল ইন ইন্ডিয়া’ করতে চাইছে মোদি সরকার। টালিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
এদিকে, হাওড়া শহরে মন্দিরতলায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। বীরশিবপুরে অবস্থানে শামিল হন আরেক মন্ত্রী পুলক রায়। দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে শামিল হন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বঙ্কিম হাজরা সহ একাধিক বিধায়ক। রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র তমলুকে রাধামণি বাজারে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর বাজারে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, লালগড়ে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ডেবরায় মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর ও শালবনির পিড়াকাটায় মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত গোরুর গাড়ি চেপে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদে শামিল হন। নদীয়ার কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়ে প্রতিবাদ সভায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শান্তিপুরে গোরুর গাড়ি নিয়ে মিছিল করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর হেমাতপুর ও কালনা বুলবুলিতলা বাজারে অবস্থানে বসেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে পেট্রল পাম্পের সামনে ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ঘোড়ার গাড়ি এনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ি থেকে ডুবুরডিহি চেকপোস্ট পর্যন্ত বাইক ঠেলে আনেন তৃণমূল কর্মীরা। তারপর নিজেদের জামাকাপড়ে আগুন লাগিয়ে সেখানে রান্না করে প্রতীকী প্রতিবাদ করা হয়।
প্রতিবাদে পিছিয়ে ছিল না উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিও। শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার, মালদহ থেকে বালুরঘাট সর্বত্র এদিন সকাল থেকে কর্মসূচি নেয় তৃণমূল। এদিন শিলিগুড়ির হাসমিচকে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব। ফুলবাড়িতে গোরু ও মোষের গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। কোচবিহারে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আলিপুরদুয়ারের চৌপথি, সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড, কালচিনি ব্লক সদর, বীরপাড়া ও ফালাকাটা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল বিক্ষোভ অবস্থান করে। জলপাইগুড়িতে অবস্থান বিক্ষোভের সঙ্গেই চলে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ। মালদহের ইংলিশবাজার, পুরাতন মালদহের বামনগোলা, রতুয়া সহ একাধিক ব্লকেও অবস্থান বিক্ষোভ হয়। রতুয়ার সামসির কর্মসূচিতে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর উপস্থিত ছিলেন।